সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে নজিরবিহীন উৎসাহে এবার পালিত হচ্ছে রামনবমী। সংঘের ডাকে এই উদযাপনে সাড়া দিয়েছে বিজেপিও। বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ও কলকাতাতেও অস্ত্র হাতে মিছিল করতে দেখা গিয়েছে সভ্য-সমর্থকদের। পাল্টা হিসেবে বীরভূম জেলায় হনুমান পুজোর আহ্বান জানিয়েছে তৃণমূল। আর তা নিয়েই এবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
[ পাঁচতারা হোটেলের বিলাশ ছেড়ে গোশালাকেই বাছলেন এই মন্ত্রী ]
এ রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তা প্রতিরোধেই গেরুয়া রাজনীতি মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে পাল্টা দাবি উঠেছে। সম্প্রতি এ ব্যাপারে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ রাজ্যে ধর্মীয় বিভেদের কোনও জায়গা নেই। গৈরিকীকরণের রাজনীতি বাংলার মাটিতে কাজ করবে না বলেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরও তোষণের অভাব-অভিযোগ থেকেই গিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির ফেসবুক পেজেও এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানান হয়েছে। রীতিমতো ভিডিও প্রকাশ করে রাজ্যে মুসলিম তোষণের অভিযোগ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের হনুমান পুজোর সিদ্ধান্ত নিয়েও অখুশি রাজ্যবাসীর একাংশ। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যদি অসাম্প্রদায়িক পরিবেশের কথাই বলেন, তাহলে রামনবমী উদযাপনের পাল্টা হিসেবে হনুমান পুজোর কী দরকার পড়ল? এতে বিভাজন অনেকটা বাড়বে বলেই মত বিভিন্ন শিবিরের।
হিন্দু ধর্ম বহুদিন তৃণমূলের বিমাতৃসুলভ বঞ্চনা সহ্য করেছে•জয় শ্রীরাম জয় হনূমান•ইনশাল্লাহ একদিন সকল ধর্ম সমান সন্মানপাবে বাংলায়
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) April 5, 2017
[ বোরখা পরেই রামনবমী উৎসবে মাতলেন মুসলিম মহিলারা ]
ঠিক একই কথা পাওয়া গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টুইটেও। হনুমান পুজোর ঘটনাতে তৃণমূলের ‘সাম্প্রদায়িক ভোট রাজনীতি’র অঙ্গ বলেই অভিহিত করেছেন তিনি। তা সত্ত্বেও এই পদক্ষেপকে স্বাগতই জানিয়েছেন বাবুল। শেষমেশ তৃণমূলকেও যে হনুমান পুজো করতে হচ্ছে এ নিয়ে টুইটে খানিকটা কটাক্ষই করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘হিন্দু ধর্ম বহুদিন তৃণমূলের বিমাতৃসুলভ বঞ্চনা সহ্য করেছে’। আর তাই তাঁর প্রার্থনা, একদিন এ রাজ্যও গুজরাট হয়ে উঠবে। মোদির ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ই হয়ে উঠবে রাজ্যের প্রধান চালিকাশক্তি তথা মূলমন্ত্র।
তৃনমূলের ‘কেষ্ট বিষ্টু’-রা রামভক্ত হনুমানের পুজো করছেযদিও এটাও TMC-র সাম্প্রদায়িক ভোট-রাজনীতি, ভক্তি-ভাব নয় তবুও বলবো, ভালোই তো
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) April 5, 2017
লড়াই করে আনবো সেই দিন বাংলায় যখন মাননীয় মোদীজির গুজরাতের মতো ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-ই মূলমন্ত্র হবে এখানে, নির্লজ্জ তোষণের রাজনীতি নয়
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) April 5, 2017
[ জানেন, মুসলিমদের ভাল বন্ধু বলে মনে করেন কত শতাংশ হিন্দু? ]