Advertisement
Advertisement

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ঘটল দুর্ঘটনা, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু মা ও মেয়ের

মর্মান্তিক!

Hoogly: Mother and daughter die in train accident

মর্মান্তিক!

Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:August 8, 2018 11:26 am
  • Updated:August 8, 2018 11:26 am

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন এক গৃহবধূ। তাঁর সঙ্গে ছিল কিশোরী মেয়েও। কিন্তু, উলটো দিক থেকে যে ট্রেন আসছে, খেয়াল ছিল না কারও। ফলে যা হওয়ার, তাই হল। ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা ও মেয়ের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পাণ্ডুয়ায়।

[শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্তকে গণধোলাই]

Advertisement

মৃতারা হলেন রিংকু দাস ও তাঁর মেয়ে সৌমি। রিংকুদেবীরা থাকেন কলকাতায়। এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে সপরিবারে গাড়ি ভাড়া করে বর্ধমানে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার গাড়িতে করেই কলকাতায় ফিরছিলেন তাঁরা। গাড়িতে ছিলেন ৭ জন। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় ৭টা নাগাদ যখন তাঁরা হুগলির পাণ্ডুয়ায় পৌঁছান, তখন হাওড়াগামী একটি লোকাল ট্রেন আসছিল। তাই সিমলাগড় রেলগেটে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য মেয়েকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন রিংকু। রেল লাইনের ধার দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। মায়ের পিছু নেয় বছর চোদ্দোর সৌমিও। কিন্তু, কখন যে উলটো দিকে ট্রেন চলে এসেছে, অন্ধকারে তা টের পাননি কেউই। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মা ও মেয়ে। ঘটনাস্থলে মারা যায় সৌমি। গুরুতর জখম রিংকুদেবীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে।  কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

দিন কয়েক আগে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা স্টেশন। রেললাইন পেরনোর সময়ে ওই যুবককে ধাক্কা মারে আপ সাঁতরাগাছি-দিঘা লোকাল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ রেললাইনে পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে উদ্ধারের কোনও ব্যবস্থা করেনি রেল। শেষপর্যন্ত মারা যান ওই যুবক। প্রতিবাদে মেচেদা স্টেশনে শুরু হয় অবরোধ। হাওড়া-খড়গপুর শাখায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল।

[ বিশ্বভারতীর বিশেষ উদ্যোগ, দৃষ্টিহীনদের জন্য গীতাঞ্জলির ব্রেইল সংস্করণ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ