সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাম্পত্যর বয়স ১৫ বছর। তবুও পণের লোভ যায়নি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির। টাকা চেয়ে নানা ছুতোয় মারধর। অত্যাচার সীমা ছাড়াল শুক্রবার। মারধর করে পুড়িয়ে মারা হল বধূকে। এমনই অভিযোগে রাজারহাট থানায় এফআইআর দায়ের করেছে মৃতের বাপেরবাড়ির লোকজন। পুলিশে জানাজানি হওয়ার আগে অভিযুক্তর গা ঢাকা দেয়।
[পুলিশের টহলদারি ভ্যানে ধাক্কা ট্রেলারের, এসআই-সহ মৃত ৩]
শ্বশুরবাড়ির রোষের শিকার ফতেমা বিবি (৩৪)। ভাঙড়ের মাঝিডাঙার বাসিন্দা ফতেমার সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল রাজারহাটের পানাপুকুরের আজগর আলির সঙ্গে। মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে টাকা চেয়ে নিয়মিত চলত অত্যাচার। এমনকী আজগরদের বেশ কিছু দাবি মেটালেও তাদের খিদে মেটেনি। ফতেমার স্বামী আজগর পেশায় দিনমজুর। ওই বধূর বাপেরবাড়ির অবস্থাও ভাল ছিল না। কিছু দিন আগে আজগর ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফতেমাকে ৫০ হাজার টাকা আনতে বলে। সেই টাকা অনেক কষ্টে জোগাড় করেছিল ওই বধূর বাপের বাড়ির লোকজন। তাতেও থামেনি লাঞ্ছনা। ইতিমধ্যে দুটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় শ্বশুরবাড়ির চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন ফতেমা। অভিযোগ এর মধ্যে এক মহিলার সম্পর্ক গড়ে তোলে আজগর। ফতেমা এর প্রতিবাদ করলে অশান্তি বাড়ে। এর জেরেই শুক্রবার ওই বধূকে আজগর ও তার পরিজনরা মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আজগর-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
[ফের নেওড়ায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, পরপর তিন ক্যামেরায় মিলল খোঁজ]
শুক্রবার ওই বধূর আর্তনাদে প্রতিবেশীরা কানে গেলেও তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর স্থানীয়রা ফতেমার বাপেরবাড়ি ও থানায় খবর দেয়। রাজারহাট থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০২, ৪৯৮এ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.