Advertisement
Advertisement
Amphan

আমফানের তাণ্ডবে ধ্বংস হয়েছে কয়েকশো ট্রলার, ইলিশের মরশুমে চিন্তায় মৎস্যজীবীরা

এর জেরে মনখারাপ মৎস্যপ্রেমীদের।

Hundreds fishing boat drowned in water for cyclone amphan
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 23, 2020 4:47 pm
  • Updated:May 23, 2020 4:47 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাঙালির মুখে যাঁরা মাছ জোগান সেই সমস্ত মৎস্যজীবীরা ট্রলার নিয়ে এই মরশুমে আদৌ জলে নামতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আমফান (Amphan) – এর দাপটে শয়ে শয়ে ট্রলার ভেঙে পড়েছে নদীর বুকে। না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দারুণভাবে। এই মুহূর্তে যা অবস্থা তাতে সমস্ত ট্রলার মেরামতি করে জলে নামতে লেগে যাবে প্রায় মাস ছয়েক সময়। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মৎস্যজীবীরা। কারণ এর ফলে পুরো ইলিশ মরশুমটাই মার খেয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ট্রলার মালিকরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজারের উপরে ট্রলার আছে। যে ট্রলারগুলি মূলত বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার কাজে নিযুক্ত থাকে। মাছ ধরে দু’পয়সা ঘরে তুলতে ইলিশের মরশুমকেই পাখির চোখ করে থাকেন সমস্ত মৎস্যজীবীরা। ঠিক তার আগে এই সুপার সাইক্লোনের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে কয়েকশো ট্রলার। এই মুহূর্তে কতগুলি মাছ ধরার অনুপযুক্ত হয়ে গিয়েছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা। কারণ বহু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। ফলে বহু মৎস্যজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁদের ট্রলার মালিকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূম, সাঁইথিয়ায় বোমাবাজিতে মৃত তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য]

এবিষয়ে ওয়েস্টবেঙ্গল ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, বহু ট্রলার ডকে অথবা নদীর জলে ডুবে আছে। বহু চেষ্টা করেও তোলা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, নদীতেও ডুবে আছে বেশ কিছু ট্রলার। যে সমস্ত ট্রলারগুলো জলে ডুবে আছে সেগুলির জল বের করে মেশিন ঠিক করার পর তাকে সমুদ্রে পাঠাতে বেশ সময় লাগবে। তারপর মিস্ত্রি ও শ্রমিক পেতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ বহু মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। তাই তাঁরা নিজেদের বাড়ি ঘর মেরামত করতেই ব্যস্ত। আর যত বেশি নদীর নোনা জলে এই সমস্ত ট্রলারগুলি পড়ে থাকবে তত সমস্যা দেখা দেবে। আর ততই বেড়ে যাবে খরচের বহর।

Advertisement

আগামী ১৫ জুন থেকে শুরু হবে এই মরশুমের ইলিশ ধরার কাজ। ফলে হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। ইতিমধ্যেই জাল কাঁছি রেডি করে সব তৈরি হচ্ছে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য। বহু ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি ভাবে তৈরিও হয়ে গিয়েছিল। মাঝি ও অন্যান্য লোকদের টাকাও মেটানো হয়ে গিয়েছিল কোনও কোনও ট্রলার মালিকের। আর তারমধ্যে হানা দিল এই আমফান। তছনছ করে দিল সমস্ত ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকা, জাল ও দড়ি সব। ফলে সমস্ত কিছু মেরামতি করে এবং মাছ ধরার উপযুক্ত করে তুলতে এখন যথেষ্ট সময় সাধ্য ব্যাপার।

[আরও পড়ুন: পুনর্গঠনেই সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে, কাকদ্বীপের বৈঠক থেকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ