সুবীর দাস, কল্যাণী: বিয়ের মাত্র সাত মাস। প্রায় প্রথম দিন থেকেই পণের দাবিতে চলত অত্যাচার! সেই দাবি না মানায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। কল্যাণীর হরিণঘাটা থানা এলাকার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযুক্তের দাবি, তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তারের পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম নীতিকা বিশ্বাস রায়। বয়স ২২ বছর। তিনি হরিণঘাটা থানার জাহিরা পাড়া বাসিন্দা ছিলেন। প্রায় সাত মাস আগে হরিণঘাটা থানারই বসন্তপুর এলাকার বাসিন্দা, বছর ২৪-এর আকাশ রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে।
মৃতার বাপের বাড়ির দাবি, আগে সব ঠিক থাকলেও বিয়ের পর থেকে তাল কাটতে শুরু করে। অভিযোগ, তরুণ বার বার পণের দাবি করতে থাকেন। নীতিকা তা না মানায় তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ। বাপের বাড়িতেও তা জানিয়েছেন নীতিকা। এই আবহে, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর বাপের বাড়ির কাছে খবর যায় বেঁচে নেই নীতিকা। বাবা-মা তড়িঘড়ি ছুটে আসেন বসন্তপুরে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। পরিবারের দাবি, তাঁরা এসে দেখেন মেঝেয় শোয়ানো রয়েছে নীতিকাকে। খবর যায় হরিণঘাটা থানায়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। হরিণঘাটা থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মৃতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে আকাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নীতিকার এক আত্মীয় বলেন, “ওদের দাবি নিতিকা গলায় দড়ি দিয়েছে। আমরা তা মানছি না। আমাদের অনুমান মেয়েকে মারধর করে খুন করা হয়েছে। দোষীর কঠোর শাস্তি চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.