Advertisement
Advertisement
মালদহ

আইনি পোশাকে বেআইনি কাজ চলছে স্টেশনগুলিতে, সিআইবির হাতে ধৃত ৬

মালদহ স্টেশনে প্রায় ৩০টা বেআইনি স্টল চলছে।

Illegal work in Maldah railway station, six arrested by CIB
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 18, 2019 7:56 pm
  • Updated:June 18, 2019 9:33 pm

সুব্রত বিশ্বাস: আগাপাছতলা দেখে বোঝার উপায় নেই স্টল বেআইনি। বা তাতে যে কর্মচারী কাজ করছেন তাঁরা রেলের বৈধ ভেন্ডার নন। অথচ এই অবৈধতা চলছে রেলের বিভিন্ন স্টেশনে। পূর্ব রেলের হাওড়া থেকে মালদহ ডিভিশনের বড় স্টেশনগুলিতে এই রমরমা কারবারের পিছনে এত বড় বেআইনি কাজের মদতদাতা এক শ্রেণির রেলকর্মী বলে অভিযোগ উঠেছে।

মালদহ স্টেশনে সিআইবির কর্মীরা একেবারে হাতেনাতে ফুডপ্লাজার ছয় কর্মীকে ধরে ফেলেন যারা বহিরাগত। রেলের বৈধতা ছাড়া এই কর্মীরা একেবারে আই কার্ড লাগিয়ে কাজ করছিলেন বলে সিআইবি জানিয়েছে। এটা চরম বেআইনি। ওই কর্মীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে কিছুই ছিল না। তবে বিষয়টি এক শ্রেণির আরপিএফের গোচরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। না হলে প্রকাশ্যে এই বেআইনি কারবার চলতে পারে না বলে রেলকর্মীদের একাংশের ক্ষোভ। আরপিএফের মালদহের কমান্ড্যান্ট লোবো ফ্রান্সিস জানিয়েছেন, কোনওরকম বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না। তা জানতে পেরেই অবৈধ লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘দল তো অনেক আছে, একটা করলেই হল’, তৃণমূল বিধায়কের ভাইপোর পোস্টে বিতর্ক ]

Advertisement

মালদহ স্টেশনে প্রায় ৩০টা বেআইনি স্টল চলছে। সবই চলছে মাসোহারা ভিত্তিক। প্রায় ৫০০ হকার এই স্টেশনে বেআইনিভাবে কারবার চালাচ্ছে বলে ইতিমধ্যে যাত্রীরা অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া বেআইনিভাবে বিভিন্ন ট্রেনের এসএলআর কামরাতে নিয়মের চেয়ে বাড়তি বিড়ি বোঝাই করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেনের আরএমএসের কামরায় গাঁজা থেকে মদ আমদানি করেন এক শ্রেণির বেআইনি কারবারিরা। লোবো ফ্রান্সিস স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বেআইনি কারবার জানা মাত্র গ্রেপ্তার করা হবে পাচারকারীদের। এমনকী রেলের কেউ জড়িত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁর বিরুদ্ধেও।

স্টেশনের বাইরে রেলের জায়গা দখল করে প্রায় দেড়শো টোটো আরপিএফের সঙ্গে সখ্য রেখে স্ট্যান্ড বানিয়েছে বলে যাত্রীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। কমান্ড্যান্ট ফ্রান্সিস বলেন, এই সব স্ট্যান্ড সব জায়গাতেই তৈরি হয়। যা সরাতে গেলে নানা ঝামেলা হয়। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সমস্যার বাড়বাড়ন্তে আরপিএফকে দায়ী করেছেন এক শ্রেণির আরপিএফ কর্মীই। তাঁদের অভিযোগ, এক ইন্সপেক্টর দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে ফিরে ফের মালদহতেই এস আই হয়েছেন। ফলে তাঁর আটঘাট সব জানা। তিনজন আরপিএফ কর্মীকে ‘স্পেশ্যাল’ তকমা দিয়ে এই সব বেআইনি কারবার সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। যার নেতৃত্বে রয়েছেন কৃষ্ণকুমার। এমনই অভিযোগ আরপিএফের।

[ আরও পড়ুন: পুলিশকর্তার দেহরক্ষীর বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে মৃত সাফাই কর্মী, মর্মান্তিক ঘটনা এগরায় ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ