নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: ক্যানিংয়ের পর এবার অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের মিনাখাঁয়। বুধবার মিনাখাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারখানার দুই কর্মী মহম্মদ সামসের আলম ও মহম্মদ ফিরোজকে। ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২ টি ওয়ান শটার পিস্তল, ৪ টি নির্মীয়মাণ পিস্তল ও প্রচুর অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বসুবাড়িতে প্রথমাতেই হয় উমার বোধন, অবাক করবে ৩০২ বছরের পুরনো পুজোর কাহিনি]
জানা গিয়েছে, একটি মামলার তদন্তে নেমে বুধবার দুপুরে তারাতলা টাঁকশালের সামনে থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে এন্টালি থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম সফিকুল গাজি ওরফে মির্জা। সে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মিনাখাঁর অস্ত্র কারখানাটির হদিশ পান তদন্তকারীরা। এরপর সেই তথ্যের ভিত্তিতে মিনাখাঁ থানার পুলিশের সহযোগিতায় রাতেই এলাকায় হানা দেয় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। মিনাখাঁয় একটি ভেড়ির মধ্যে হদিশ মেলে অস্ত্র কারখানার। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে ২ টি ওয়ান শটার পিস্তল, ৪ টি নির্মীয়মাণ পিস্তল ও প্রচুর অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই কারখানা থেকেই মহম্মদ সামসের আলম ও মহম্মদ ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে তাদের। জানা গিয়েছে, ধৃতরা আদতে বিহারের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই কারখানার সঙ্গে মুঙ্গেরের যোগ রয়েছে। কিন্তু কবে থেকে ওই কারখানায় অস্ত্র নির্মাণ চলছে, কোথায় পাচার হত অস্ত্র, আর কারা জড়িত রয়েছে এই অস্ত্র কারখানার সঙ্গে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে হতবাক গ্রামের বাসিন্দারাও। স্থানীয়রা কোনও দিন ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে ভেড়ির আড়ালে আদতে অস্ত্র কারখানা গড়ে উঠেছে তাঁদের চোখের সামনে।