নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমের সিউড়িতে অত্যন্ত ‘চুপিসারে’ নিজস্ব ভবনের জন্য জমি কিনল বিজেপি। আর তা নিয়ে দলের অন্দরেই শুরু হয়ে গেল বিতর্ক। নিচুতলাকে অন্ধকারে রেখে এই কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি জমির দাম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
[আগেভাগেই নারদ কাণ্ডে ইডি দপ্তরে হাজিরা মুকুল রায়ের]
৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে সিউড়ির গণেশপল্লির কাছে জমি গোপনে কিনেছে রাজ্য নেতৃত্ব। কারণ, এর আগে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ সিউড়িতে জায়গা কিনে এখনও দপ্তর করতে পারেনি। যা নিয়ে বিস্তর জটিলতা হয়েছিল। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বিজেপির রাজ্য নেতা সুভাষ সরকার জেলা নেতৃত্বকে কার্যত না জানিয়ে জমি কেনেন। এই ঘটনায় দলের মধ্যেই নানা কথা শুরু করে হয়েছে। বিজেপির একাংশের মতে, রাজ্য দপ্তরকে জমির যে দাম দেখানো হয়েছে, তার থেকে অনেক কম দামে জমি কিনেছেন জেলার কিছু নেতা। সেই খবর ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় বিষয়টি গোপন করা হয়। তবে এ ব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “গোপনীয়তা রাখা হয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব থেকেই। এছাড়া যারা দলীয় সদস্য, তারা জানেন দলের অর্থের উৎস কী। কীভাবে তা খরচ হয়। তাই এর প্রশ্ন যাঁরা তুলছেন, তাঁরা আদতে দলের কেউ নন।”
[আধার কার্ডের জন্য প্রতিবন্ধী যুবককে ‘হেনস্তা’, কেন্দ্রকে ধমক হাই কোর্টের]
দু’বছর আগেই প্রতিটি জেলাতে নিজস্ব অফিস করার জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু মাঝপর্বে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় দল। সে সময় বড় বাড়ি দেখে সেখানেই পার্টি অফিস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জেলা নেতাদের কথায় সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড, ডাঙ্গালপাড়া এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি পার্টি অফিসের জন্য দেখা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির মালিক সম্মতি জানিয়েও শেষ পর্যন্ত অজানা কারণে পিছিয়ে যান। কেউ কেউ আবার সুযোগ বুঝে দাম চড়িয়ে নেন। শেষ পর্যন্ত নিজেদের জমিতেই পার্টি অফিস করার পরিকল্পনা নেয় বিজেপি। এর আগে সিউড়ির সাজানোপল্লিতে ছাত্র সংগঠনের জন্য জমি কিনে তাতে ভূমিপুজো করে সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।
[বাতিলেই ভর্তি ঘর, নয়া নোট ছাপানো বন্ধ করল RBI]
কিন্তু সেখানে দপ্তর বানাতে গিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই এবার জাতীয় সড়কের পাশে প্রস্তাবিত সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের কাছে তিলপাড়া এলাকায় ৩২ লক্ষ টাকা দিয়ে জায়গা কিনে ফেলেছে বিজেপি। সেখানে ত্রিতল ভবনের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। যার প্রথমতলায় একটি গ্যারেজ, গুদাম। দ্বিতলে দুটি বিশেষ ঘর নেতাদের জন্য। তার পাশেই জেলা সভাপতির নিজস্ব ঘর। তিন তলায় মিটিং হল ও রন্ধনশালা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে ইট পড়ার আগে বিজেপির এই পার্টি অফিস নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে।
ছবি: বাসুদেব ঘোষ
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.