Advertisement
Advertisement

Breaking News

পণের দাবিতে বধূকে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’, চাঞ্চল্য নদিয়ায়

অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মৃতদেহ ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

In Nadia housewife allegedly murdered by in laws for dowry
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 26, 2017 12:27 pm
  • Updated:September 22, 2019 3:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম করে বিয়ে। কিন্তু তাতেও পণের বলি হওয়া থেকে রেহাই পেল না গৃহবধূ। পণের দাবিতেই শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ বধূর মৃতদেহটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার চাকদহের ধানতলায়। মৃতের নাম রুম্পা ভট্ট। বয়স মাত্র ১৯ বছর।

[বিরাট-রোহিতের দাপুটে ব্যাটিংয়ে জয়ের দোরগোড়ায় টিম ইন্ডিয়া]

জানা গিয়েছে, চার বছর আগে চাকদহের পালপাড়ার বাসিন্দা রুম্পার সঙ্গে বিয়ে হয় ধানতলার পাঁচবেড়িয়ার নোয়াখালিপাড়ার বাসিন্দা রাকেশ ভট্টের। বেশ কিছুদিন প্রেম করার পরই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তিন বছরের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল অশান্তি। মূলত পণের দাবিতেই অত্যাচার শুরু হয় রুম্পার উপর। বিয়ের সময়েও মেয়ের বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা পণ হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী ছ’মাস আগেও একটি মোটরবাইক দেওয়া হয়েছিল কম্পিউটার রিপেয়ারিং-এর কাজ করা রাকেশকে। তবুও আরও পণের দাবিতে মেয়ের বাড়ির ওপর চাপ দিচ্ছিল রাকেশের বাড়ির লোকজন। এমনকী শ্বশুরবাড়িতে মারধরও করা হত রুম্পাকে।

Advertisement

[১১টি স্পা-তে হানা পুলিশের, তাইল্যান্ডের ২৮ যুবতী আটক]

মৃতার এক আত্মীয় সৌমিত্র নন্দী জানিয়েছেন, ‘ওরা মেয়েকে পণের জন্য মারধর করত। ঘটনার দিন অর্থাৎ শনিবার রাকেশের বাড়ি থেকে মেয়ের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় রুম্পার শরীর খারাপের কথা। এরপরই বলা হয়, আড়ংঘাটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যত দ্রুত সম্ভব চলে আসতে।’ কিন্তু ওই স্বাস্থকেন্দ্রে গিয়ে মৃতার পরিবারের লোকজন দেখেন, সেখানে কেবল রুম্পার মৃতদেহ রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ নেই। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উদ্ধার করে মৃতদেহ। রুম্পার বাড়ির লোক থানায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। মৃতার শ্বশুর-শাশুড়িকে খুঁজে না পাওয়া গেলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে রুম্পার স্বামী রাকেশ ভট্ট ও ভগ্নিপতী গোপাল দাসকে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

Advertisement

ছবি: সুজিত মণ্ডল

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ