ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নির্দলদের দলে ফেরানোর পালা শুরু হল তৃণমূলে। তৃণমূল ছেড়ে নির্দল হয়ে যাঁরা ভোটে লড়েছেন, তাঁদের আর ফেরানো হবে না বলে কঠোর মনোভাব নিয়েছিল দল। পরে তাঁদের লাগাতার আকুতির পর শাসক দল জানিয়ে দেয় লিখিত আবেদন জমা পড়ার পরই তা বিবেচনা করে দেখা হবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই রবিবার কোচবিহার জেলা পরিষদের একমাত্র নির্দল জয়ী প্রার্থীকে দলে ফিরিয়ে নিল তৃণমূল। যার জেরে এক ডজন বিরোধীশূন্য জেলা পরিষদ হাতে পেল তৃণমূল। আগে হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর ও দুই মেদিনীপুর জেলা পরিষদ জিতেছিল তৃণমূল। এদিন সেই তালিকায় জুড়ল কোচবিহার।
[ এবার প্রকাশ্য ইদের নমাজ পড়বেন বর্ধমানের মহিলারা ]
এদিন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে গিয়ে ফের তৃণমূলের খাতায় নাম লেখালেন কোচবিহার জেলা পরিষদের জয়ী নির্দল প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত বর্মন। জেলা পরিষদে চলতি তৃণমূল বোর্ডের তিনি একজন সদস্য। দলের জেলা কমিটির ভাইস চেয়ারপার্সন। কৃষ্ণকান্তর যুক্তি, তৃণমূলে থেকেই এতসব পদ। আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাময়িক ক্ষোভ থেকেই তাঁর নির্দল হয়ে লড়াই এবং জয়। তাই তৃণমূলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েই তাঁর দলে ফেরা। কৃষ্ণকান্তর কথায়, “সবটাই যখন তৃণমূলে থাকার ফলে হয়েছে, সে কারণে দলনেত্রী মমতা বন্দে্যাপাধ্যায়ের উপর ভরসা রেখেই আবার দলে ফিরলাম।” মহাসচিব বলেছেন, “কৃষ্ণকান্ত দীর্ঘদিনের দলের সৈনিক ছিলেন। যে কারণেই হোক তিনি ভোটের সময় দলের টিকিট পাননি। কিন্তু নির্দল হিসাবে জিতে এসেছেন। তার পরও মমতা বন্দে্যাপাধ্যায়ের প্রতি, দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য দেখিয়েছেন। সে কারণেই তাঁর আবেদন আমরা গ্রহণ করব।” জয়ী নির্দলদের সংখ্যার ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাতছাড়া। একাধিক ত্রিশঙ্কুও। সেগুলি পুনরুদ্ধারের পালা শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে দলের মহাসচিবের যুক্তি, “গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট অনেকটা পাড়ার ভোটের মতো। সেখানে যেমন ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা বড় হয়ে দেখা দেয়, তেমনই হয়েছে। তার ফলেই গ্রাম পঞ্চায়েতে এত নির্দল জয়ী হয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.