Advertisement
Advertisement

গোয়ালতোড়ের পরিত্যক্ত জমিতেই গড়ে উঠবে শিল্পতালুক

মুখ্যমন্ত্রী গোয়ালতোড়ের কথা বলার পরই প্রকল্প গড়ার জন্য পরিকাঠামো প্রস্তুত করতে নেমে পড়ল প্রশাসন৷

Industry will be formed in the abandoned land of Goyaltor
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 16, 2016 9:13 am
  • Updated:June 22, 2022 4:06 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রী গোয়ালতোড়ের কথা বলার পরই প্রকল্প গড়ার জন্য পরিকাঠামো প্রস্তুত করতে নেমে পড়ল প্রশাসন৷ সিঙ্গুরের সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, গোয়ালতোড়ে একলপ্তে বিপুল জমি রয়েছে৷ হিসাব বলছে, গোয়ালতোড়ে ৯৫০.১৭ একর জমি রয়েছে৷ নিশ্চিন্তপুরে ৬৫২.২০ একর, পিনরাশুলিতে ১২৫.৪৮ একর ও কেশিয়ায় ১৭২.৪৮ একর জমি আছে৷ একলপ্তে এত পরিমাণ জমি রাজ্যের হাতে থাকা শিল্পস্থাপনের পক্ষে অন্যতম সহায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে প্রায় তিন বছর ধরে এই জমি অধিগ্রহণ করে রাজ্য সরকার৷ সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিল পাট বীজ খামার৷ কিন্তু পাটশিল্প রুগ্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালের নিয়মে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই খামার৷ খামারের কর্মীসংখ্যা ১০২৬ থেকে কমে বর্তমানে ১০০-র নিচে দাঁড়িয়েছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গোয়ালতোড়ের ওই পরিত্যক্ত পাট বীজ খামারের জমিতে শিল্পতালুক করার কথা ঘোষণা করেন৷ ২০১৩ সালে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিল্পতালুক পরিদর্শনও করেন৷ শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে কথা বলে গোয়ালতোড়ে পরিকাঠামো গড়ার কাজ হয় তখন থেকেই৷ সিঙ্গুরের সভা থেকে গোয়ালতোড়ের নাম ঘোষণার পর সেই কাজে গতি এসেছে৷ জেলা বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই প্রকল্প এলাকায় ১৩২ কেভি সাবস্টেশন করার জন্য ৭৫ ডেসিমেল জমি চাওয়া হয়েছে৷ ১০ কোটি টাকা খরচে সাবস্টেশন তৈরি হয়ে গেলে গোয়ালতোড়ের এই শিল্পতালুক শিল্পদ্যোগীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে৷ আগামী ১৯ তারিখ এবিষয়ে মেদিনীপুর জেলা পরিষদ হলে বৈঠকও রয়েছে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের৷”

শুধু তাই নয়, গোটা এলাকাটিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরার জন্য টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্থানীয় দুর্গাধাম বীজ খামারে আগাছা নির্মূল অভিযান শুরু হয়েছে৷ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে গোয়ালতোড়ের দুর্গাধাম বীজ খামারের দূরত্বের কথা মাথায় রেখেই চন্দ্রকোনা রোড থেকে শিল্পতালুক পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়ার পাশাপাশি, ঝাড়বনি-জগারডাঙা-বিক্রমপুর বিকল্প রাস্তার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে৷ পরিকাঠামোর যেখানে যেটুকু খামতি আছে তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে৷ প্রকল্প এলাকার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত কংসাবতী নদীর ২৫ ফুট চওড়া খাল৷ তা ছাড়া ৭-৮ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে শীলাবতী নদী৷ ফলে শিল্পস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জলের অভাব নেই৷ গোয়ালতোড়ের বাসিন্দা জেলার তৃণমূল কিষান সেলের সভাপতি দুলাল মণ্ডল জানিয়েছেন, গোয়ালতোড়ের মতো জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকায় কৃষি ও শিল্পের সহাবস্থান চাই৷ শিল্পের জন্য তৈরি জমিকে এবার কাজে লাগানো যাবে ভেবেই খুশি গোয়ালতোড়ের মানুষ৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ