অভিষেক চৌধুরী, কালনা: মিড ডে মিলের খিচুড়িতে কেন্নো! নজরে পড়তেই অভিভাবক ও স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল পূর্বস্থলীর চুপির অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অভিযোগ, একটি ঘরে বন্দি করে দেওয়া হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে। বিক্ষুদ্ধদের অভিযোগ যে, নিম্নমানের, পোকা ধরা চাল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রান্না হত ওই অঙ্গনওয়াড়িতে। অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পঞ্চায়েত প্রধান, সিডিপিও-সহ পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।
পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের বড়কাইবাতি এলাকায় অঙ্গনওয়াড়িতে ৬৫ জন পড়ুয়া। তবে কর্মী মাত্র একজন। সহায়িকা পদে কেউ নেই। এই কারণে খুদেদের পড়ানো থেকে তাঁদের জন্য খিচুরি তৈরি, সবটাই করেন ওই একজন কর্মীই। ফলে একাধিক অভিযোগ ছিলই। এরই মাঝে গত বুধবার বাচ্চাদের খিচুরিতে মেলে কেন্নো। এর জেরেই বৃহস্পতিবারের তুলকালাম কাণ্ড। পোকা ধরা চাল দিয়ে রান্নার অভিযোগ তুলে অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষজন প্রতিবাদে সরব হন। কোনও সদুত্তর না মেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী প্রতিমা সাহাকে তালাবন্দি করে রাখা হয়।
অভিভাবক রেখা বিবি জানান, “বুধবার থালায় ঢেলে ছেলেকে খিচুরি খাওয়াতে গিয়ে দেখি বড় একটা কেন্নো। বৃহস্পতিবারও খিচুড়ি রান্নার সময় পোকা ভাসতে দেখা যায়।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিভাবকরা খিচুরিতে পোকা দেখতে পান। কর্মীর ব্যবহারও ভালো নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নেই। নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ” তিনি আরও বলেন, “এদিনের বিক্ষোভের পর সপ্তাহে তিনদিন অস্থায়ীভাবে অন্য একজন রান্নায় সহযোগিতা করবেন বলে সিডিপিও এদিন জানিয়ে গিয়েছেন।” অন্যদিকে এদিন সিডিপিও অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সুপারভাইজাররা গাড়ি করে ঘটনাস্থলে গেলেও এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.