সন্দীপ চক্রবর্তী ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: খোকন শিকদার ও সমর টিকাদার। রুজিরুটির সন্ধানে ইরাকে পাড়ি দিয়েছিলেন নদিয়ার দুই যুবক। মসুলে আরও কিছু ভারতীয়র সঙ্গে তাঁদেরও তুলে নিয়ে যায় আইএস জঙ্গিরা। শেষ তিন বছর তাঁদের কোনও খবর মেলেনি। আশা নিরাশার দোলাচলে ছিল পরিবার। আচমকাই দুঃসংবাদ দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। জানিয়ে দিলেন, ওই ৩৯ জন ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল শিকদার-টিকাদার পরিবারে। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্পূর্ণ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই কথাই রাখলেন শুক্রবার। নবান্নে এসেছিলেন দীপালি টিকাদার ও নমিতা শিকদার। তাঁদের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। দু’জনকেই দিলেন চাকরির আশ্বাস।
[মরা মানুষকে বাঁচিয়ে তোলার ‘ফর্মুলা’ জেনে ফেলেছিলেন বেহালার শুভব্রত]
এদিন স্থানীয় প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে এদিন নবান্নে এসেছিলেন দীপালি-নমিতা। দীপালির সঙ্গে ছিল কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। আর নমিতার ছোট ছেলে। অশৌচ এখনও কাটেনি। কাছের মানুষদের হারানোর দুঃখ এখনও জড়িয়ে আছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে চেক নেওয়ার সময় সদ্য বিধবাদের চোখে জল। পঞ্চায়েত ভোটের পর দু’জনকেই চাকরির আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুদের পড়াশোনার দিকেও নজর রাখা হবে বলে জানালেন। তারপর নিজে নেমে বাইরে পর্যন্ত পৌঁছে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহারে, তাঁর আশ্বাসে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন। ফিরে যাওয়ার আগে জানিয়ে গেল নমিতা-দীপালি।
এদিকে যাঁর সঙ্গে নিহত দুই বাঙালির স্ত্রীরা এসেছিলেন, সেই প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথায় কথায় জানতে পারেন, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তাঁকে দলের তরফে টিকিট দেওয়া হয়নি। এমন পরোপকারী মানুষটা কেন ভোটে দাঁড়াবেন না? এই প্রশ্নই তোলেন মমতা। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন। তিনি যাতে ভোটে লড়তে পারেন তার বন্দোবস্ত করতে বলেন।
[মেট্রোর স্মার্ট কার্ডে থাকবে বাংলা, বাঙালির আন্দোলনে স্বীকৃতি রেল মন্ত্রকের]