Advertisement
Advertisement

চার দিনে জমা ৫৮ কোটি! সমবায় ব্যাঙ্কে হানা আয়করের

হিসাবে নজর পড়তেই চোখ ছানাবড়া আয়কর কর্তাদের৷

IT department conducts raid at Raiganj Central Cooperative Bank
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 20, 2016 9:34 am
  • Updated:November 20, 2016 9:34 am

স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা ও নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: সমবায় ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা জমা পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল৷ শুধুমাত্র রায়গঞ্জ সমবায় ব্যাঙ্কে চারদিনে জমা পড়েছে ৫৮ কোটি টাকা৷ এই ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের বেশিরভাগই প্রান্তিক কৃষক৷ কিন্তু এখানে একটি অ্যাকাউণ্টে একবারে জমা হয়েছে এক কোটিরও বেশি টাকা৷ সত্তর লাখের বেশি জমা তিনজনের অ্যাকাউণ্টে৷ ঊনপঞ্চাশজনের অ্যাকাউণ্টে আড়াই লাখের বেশি জমা পড়েছে৷

সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা সাংসদ মহম্মদ সেলিম এ প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে কালো টাকা রাখছে৷ এখানেও তাই হয়েছে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রীয় সরকার সব জানে৷ তাই পুরনো পাঁচশো ও হাজার টাকা জমা নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷” রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অধীনে ২০০টি সমবায় সমিতি আছে৷ সাধারণ মানুষ টাকা জমা করেছেন৷ কোনও দুর্নীতি হয়নি৷ দুর্নীতি হলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তা কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে দেখতে পাবে৷ সেলিমবাবুরা গরিবের পাশে না দাঁড়িয়ে আবোল তাবোল বকছেন৷”

Advertisement

হিসাবে নজর পড়তেই চোখ ছানাবড়া আয়কর কর্তাদের৷ দেরি না করেই তাঁরা হানা দিয়েছেন রায়গঞ্জ সেণ্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে৷ শুক্রবার রাতে সহকারী অধিকর্তার নেতৃত্বে আয়কর দফতরের পাঁচ সদস্যের টিম হানা দেয় ওই ব্যাঙ্কে৷ দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি৷ বাজেয়াপ্ত করা হয় সন্দেহজনক বেশ কিছু অ্যাকাউণ্টের নথিপত্র৷ অনেক গ্রাহকের প্যান নম্বরও সংগ্রহ করে নিয়ে যান আয়কর কর্তারা৷ সেইসঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই সমবায় ব্যাঙ্ককর্তাদের৷ এ ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়৷

ব্যাঙ্কে জমা টাকার উৎস জানতে শনিবারও দিনভর আয়কর দফতরের তদন্ত চলে৷ প্রথমে কর্ণজোড়ায় স্টেট ব্যাঙ্কের রিজিওনাল শাখায় গিয়ে দেখা করতে বলা হলেও পরে সিদ্ধান্ত বদলে এদিন সকালেই ফের ব্যাঙ্কে চলে আসেন আয়কর কর্তারা৷ রায়গঞ্জ সেণ্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ও সিইও-কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷

আয়কর হানার পর ওই সমবায় ব্যাঙ্ক সম্পর্কে যে তথ্য সামনে উঠে এসেছে তা শুনে সাধারণ মানুষের চক্ষু চড়ক গাছ৷ জানা গিয়েছে, ১০-১৩ নভেম্বর চারদিনে ওই ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে ৫৮ কোটি ২১ লক্ষ টাকা৷ এই ব্যাঙ্কের অধীনে ১৬টি শাখা৷ তার ১৩টি উত্তর দিনাজপুরের৷ বাকি তিনটি দক্ষিণ দিনাজপুরে৷ আয়কর কর্তারা জেনেছেন, করণদিঘির এক গ্রাহকের অ্যাকাউণ্টে জমা পড়েছে কোটি টাকা৷ ৭০ লক্ষ টাকার উপর জমা করেছেন তিনজন৷ তাঁদের বাড়ি রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি, মারাইকুড়া ও বিন্দোলে৷ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মাসুদ মহম্মদ নাজিম এহসান বেপরোয়াভাবে টাকা জমা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেননি৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement