Advertisement
Advertisement
জয় হিন্দ বাহিনী

এক ফোনেই হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে জয় হিন্দ বাহিনী

তরুণ-তুর্কি যুবকদের সাহায্য পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

Jai Hind Bahini delivers food in one phone call to Home Isolation residents
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:June 23, 2020 1:07 pm
  • Updated:June 23, 2020 1:07 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: করোনার কারণে হোম আইসোলেশনে আছে জেলার কয়েক হাজার পরিবার। শুধু জেলার নয়, কলকাতার বহু মানুষ এই মুহূর্তে করোনার কারণে আছেন আইসোলেশনে। সেই সমস্ত মানুষরা নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের জন্য বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না কোভিডের বিধিনিষেধ থাকার কারণে। আর সেই সমস্ত মানুষ দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে শুরু করলেন বেশ কয়েকজন যুবক। যারা সকলেই তৃণমূলের ‘জয় হিন্দ বাহিনী’র সদস্য। ইতিমধ্যেই কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তিনশো পরিবারকে প্রতিদিন খাবার সরবরাহ করে আসছে তারা।

শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার দিচ্ছে তাই নয় সঙ্গে থাকছে ফল, বিভিন্ন ধরনের জুস এবং বেবি ফুড। ইতিমধ্যেই এই কাজে নেমে পড়েছেন জনা পঁচিশ যুবক। যারা প্রতিদিন পায়ে হেঁটে কিংবা মোটরসাইকেলে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন সেই সমস্ত কভিডে আইসোলেশন এ থাকা পরিবারগুলিকে। আইসোলেশনে থাকা এক পরিবারের সদস্য জানালেন, ‘পরিবারের রোজগেরে সদস্য বেঙ্গালুরু থেকে কাজ করে ফেরার পর এলাকার লোকজন আমাদেরকে আইসোলেশনে থাকতে বলেছেন। প্রশাসনের কর্মীরা আমাদের বাড়ি থেকে না বের হতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো আমরা বাড়ি থেকে বের হচ্ছি না। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে কেউ বাইরে যেতে পারছি না। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেখতে পেলাম। এবং সেখানে ফোন করার পর থেকেই প্রতিনিয়ত আমরা খাওয়ার পারছি বাড়িতে বসেই। আপাতত কোনও সমস্যাই নেই। শুধু খাবার নয় কিছু ওষুধের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল তাও পেয়েছি আমরা।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: টিফিনের জমানো টাকায় হাওড়ার আমফান বিধ্বস্তদের পাশে খুদে পড়ুয়ারা, বিলি করল খাদ্যসামগ্রী]

এ বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন,”লকডাউন শুরু হতেই আমরা বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প এবং গরিব মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম। আমফানের প্রচুর সাহায্য করেছি আমরা। বর্তমানে যে সমস্ত মানুষরা কোভিডের কারণে আইসোলেশনে আছে তাঁদেরকে আমরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছি বাড়িতে। শুধু আমাদের কাছে ফোন করলেই বাড়ির একটি নির্দিষ্ট জায়গাতে পৌঁছে যাবে খাবার। যতদিন করোনার প্রকোপ থাকবে ততদিন আমাদের এই কর্মসূচি চালু থাকবে।’  

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ