অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: জলঙ্গি গুলিকাণ্ডে ধৃত আরও এক। এবার ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডলের ভাই মহিরুদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও এখনও ঘটনার মূল অভিযুক্ত তহিরুদ্দিন মণ্ডল অধরাই রয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন গুলি চলে জলঙ্গির সাহেবনগরে। এদিন সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলার সময় তৃণমূল নেতা তহিরুদ্দিনের গুলিতে মারা যান স্থানীয়। এরপরই রাস্তা আটকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় গ্রামবাসী। যদিও এই ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত তহিরুদ্দিন-সহ ফেরার ছিল অভিযুক্তরা। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অত্যন্ত তৎপর। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে নিয়ম করে। তাদের মোবাইল ফোনও ট্র্যাক করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের সকলকেই গ্রেপ্তার করা হবে। জলঙ্গি থানার পুলিশ বিশেষ সুত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডে কলকাতাগামী একটি বাস থেকে মহিরুদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
[আরও পড়ুন:আদিবাসী সমাজের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ২০০ তরুণীর বিয়ে দেবেন মমতা]
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় দায়ের করা দু’টি পৃথক অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ছয় জন গ্রেপ্তার হয়েছে। যার মধ্যে মূল অভিযুক্ত জলঙ্গি ব্লক তৃণমূল সভাপতি তহিরুদ্দিনের ছায়াসঙ্গী সাহেবনগর পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মিল্টন সরকার ও হায়দার মোল্লা নামের ঘোড়ামারা গ্রামের এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাহেবনগর পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী মিলটন শেখের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃত সালাউদ্দিনের বাবা।সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রেপ্তার করা হয় মিলটনকে।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। ধৃতরা বর্তমানে সবাই জেল হেফাজতে রয়েছে। বাকিরা এখনও পলাতক।