অর্ণব আইচ: মাসখানেক পর অবশেষে গ্রেপ্তার জয়নগর গুলি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিল্লির নেহরু বিহার থেকে আবদুল কাহার মোল্লা ওরফে বাবুয়া সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি টিম। সহযোগী ছিল দিল্লি পুলিশও। ধৃত বাকি ২ জনের নাম আবদুল হোসেন মিস্ত্রি ওরফে আবুল এবং মনিরুদ্দিন গাজি।
গত ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়ি লক্ষ্য করে বহরু এলাকায় গুলি চালায় একদল দুষ্কৃতী। বিধায়ক গাড়িতে না থাকায় বেঁচে যান। তবে তাঁর গাড়ি চালক-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়।তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। শুরু হয় অভিযুক্তদের খোঁজ। গোপন সূত্রে সিআইডির কাছে খবর পৌঁছয়, ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আবদুল কাহার মোল্লা ওরফে বাবুয়া এবং তার দুই সহযোগী দিল্লিতে আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছে। এরপরই তল্লাশিতে নামে সিআইডি দল। দিল্লি পুলিশের সাহায্য নিয়ে চলে অভিযান। শুক্রবার সকালে দিল্লির দয়ালপুরের নেহরু বিহার থেকে ধরা পড়ে আবদুল কাহার মোল্লা ওরফে বাবুয়া। একে একে সিআইডি গ্রেপ্তার করে বাবুয়ার দুই সহযোগী আবদুল হোসেন মিস্ত্রি ওরফে আবুল এবং মনিরুদ্দিন গাজিকে। ঘটনার পর প্রায় মাসখানেক ধরে এই নেহরু বিহারেই গা ঢাকা দিয়েছিল এই তিনজন। এদের সকলের বাড়ি জয়নগরের হাসানপুরে বলে জানতে পেরেছে সিআইডি দল। তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।
[বন্ধ মদের দোকান খুলতে গিয়ে মহিলাদের তাড়া খেলেন কাউন্সিলর]
ঘটনার পর তৃণমূলের তরফে অভিযোগ ওঠে, এলাকার বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসকে খুনের উদ্দেশেই ওই দিন তাঁর গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল বিরোধী দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদল। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোও এনিয়ে চূড়ান্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে কঠোর শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আবার বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এমন ঘটনা। বিধায়কের ওপর হামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্তে তোড়জোড় শুরু হয় সিআইডির তরফে। ধৃত বাবুয়া এবং তাঁর দুই সহযোগীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসল সত্য বের করতে চান তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.