Advertisement
Advertisement

টাগের্ট বাংলার বৌধ্য গুম্ফা, মুর্শিদাবাদে ৮০ যুবক নিয়োগ জেএমবি’র

রাজ্য জুড়ে ওঁত পেতে জেএমবি-র বোমারু 'স্লিপার সেল'।

JMB plot targeting monastery busted in West Bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 3, 2018 11:38 am
  • Updated:February 3, 2018 11:38 am

স্টাফ রিপোর্টার: এবার নিও জামাত-উল-মুজাহিদিন (নিও জেএমবি) জঙ্গিদের টার্গেট ছিল এই রাজ্য। প্রাথমিকভাবে রাজ্যের একটি বৌদ্ধ গুম্ফা বা ‘মনাস্ট্রি’তে বড়মাপের বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেছিল এই জঙ্গিরা। তার জন্য মুর্শিদাবাদের ৮০ জন যুবককে নিয়োগ করে জঙ্গি সংগঠন নিও জেএমবি। তাদের মধ্যে অনেককেই বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য যে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হয়, সেই প্রমাণ পেয়েছেন লালবাজারের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর আধিকারিকরা।

[মুর্শিদাবাদে গ্রেপ্তার বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের মূলচক্রী দুই জামাত জঙ্গি]

Advertisement

ধুলিয়ানের এক জঙ্গির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি বস্তায় প্রায় ২০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০টি জিলেটিন স্টিক ও ৫০টি ডিটোনেটর, ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত সকেট, বেশ কিছু টিফিনবক্স। ওই টিফিনবক্সেই বিস্ফোরক পুরে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। দুই নিও জেএমবি জঙ্গি মহম্মদ পয়গম্বর ও জামিরুল শেখকে এসটিএফ গ্রেপ্তার করে। আরও তিন জঙ্গি নেতার উপর নজর রয়েছে তাদের। তাদের ধরার চেষ্টা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদেই এই রাজ্যের কোনও বৌদ্ধ গুম্ফায় নাশকতার ছক কষেছিল তারা। গোয়েন্দাদের ধারণা, তাদের লক্ষ্য ছিল উত্তরবঙ্গের বৌদ্ধ গুম্ফাও। সেই কারণে জামিরুল বৌদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরও নেপাল থেকে উত্তরবঙ্গে রেইকি করতে এসেছিল।

Advertisement

গোয়েন্দারা জেনেছেন, ৬ মাস আগে জঙ্গি সংগঠন নিও জেএমবি-র প্রধান সালাউদ্দিন সালেহিন মুর্শিদাবাদে আসে। ধুলিয়ানে একটি অনুষ্ঠান ও সভার মাধ্যমে গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ওই জঙ্গি নেতা। যুবক ও তরুণদের মগজধোলাই করা হয়। ধুলিয়ানে জঙ্গি ‘মডিউল’ তৈরি করে তার আওতায় সাতটি ইউনিট গড়া হয়। প্রত্যেকটি ইউনিটের জন্য ১৮ থেকে ৩১ বছর বয়সের তরুণ ও যুবকদের নিয়োগ করেছিল জঙ্গিরা। পুলিশের অভিযোগ, তাদের মধ্যে একটি বড় অংশকে বিস্ফোরক তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ কওসর ওরফে বোমারু মিজান। ধৃত দু’জনের কাছ থেকে ওই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত এমন বেশ কয়েকজনের নাম মিলেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর যাদের নাম উঠে এসেছিল। তাদের সন্ধানেও তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[রাম মন্দির তৈরির শপথ যোগীর রাজ্যের ডিজির, ভাইরাল ভিডিও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ