জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: প্রাইমারি টেটে (Primary TET) উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করানোর অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থী। আন্দোলনও করছিলেন। কিন্তু মামলার রায় জানার আগেই অবসাদে আত্মঘাতী হলেন বাদুড়িয়ার চাকরিপ্রার্থী। ছেলেকে হারিয়ে তাঁর বাবার হাহাকার, “যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেলে ছেলেকে এভাবে হারাতে হত না ৷”
২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নির্ণায়ক টেট দিয়েছিলেন রাজু গাজি (২৯)। বাড়ি বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে মাঠেও কাজ করতেন রাজু। শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন যুবক। রাত আটটার পরও বাড়ি না ফেরায় তাঁকে ফোন করেন পরিবারের সদস্যরা। ফোনটি রিসিভ করে জিআরপি আধিকারিকরা। তাঁদের কাছ থেকে ছেলের মৃত্যুর খবর পায় পরিবারের সদস্যরা। ঠাকুরনগর ও চাঁদপাড়া স্টেশনের মাঝে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় রাজুর।
রাজুর বাবা ইসরাইল গাজী বলেন “ছেলে বাড়ি আসছি না দেখে রাত আটটার সময় ওর মোবাইলে ফোন করি ৷ জিআরপি থানার পুলিশ ধরে ৷তারপরেই ছেলের মৃত্যুর কথা জানতে পারি ৷” পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে রাজু টেট পরীক্ষা দিয়েছিল ৷ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে অকৃতকার্য করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এ বিষয়ে তিনি মামলাও করেন৷ চাকরি না পেয়ে আন্দোলনও করছিলেন ৷ তবে চাকরি না পেয়ে টেনশনে থাকতেন রাজু ৷
শনিবার দুপুরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজুর বাবা। তিনি বলেন “যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেলে ছেলেকে এভাবে হারাতে হত না। তবে চাকরি না পেয়ে রাজু আত্মহত্যা করেছেন, সে কথা মানতে পারছে না তাঁর বন্ধুরাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.