সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আলতা পাতে চালতা পাতে। বিনোদ পাতে মিশেছে।
টুসু নাকি রাজার বিটি। সই পাতাতে আসেছে।
এভাবেই প্রতিবছর উপলক্ষ হয়ে আসে টুসু। তাকে ঘিরেই উৎসবে মেতে ওঠে জঙ্গলমহল। নিজেদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, রাগ-অভিযোগ, আনন্দ সব ভাগ করে নেন টুসুর সুরে। এও এক সংক্রান্তি। যাকে কোনও নিয়ম-নীতি মেনে নয়, ভালবেসে বরণ করে নেন জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। নতুন ফসলের আনন্দে এভাবেই মেতে ওঠেন ছোটনাগপুর মালভূমির বাসিন্দারা।
প্রতি বছর মকরসংক্রান্তিতে এভাবেই নদীর চরে ঘটে মানুষের মহামিলন। গৃহস্থের হেঁসেল থেকে ‘চৌউল’ বিক্রির হাট রোজনামচা উঠে আসে টুসু শিল্পীদের গানের কথায়। প্রতিবারই সেই কথায় লাগে আধুনিকতার ছোঁয়া। কোথাও দেখা যায় রঙবাহারি মাটির পুতুলের সম্ভার, কোথাও বসে পিঠে-পুলির আসর। রাতে টুসু দেবীর ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় নানারকম মিষ্টান্ন, ছোলাভাজা, মটরভাজা, মুড়ি, জিলিপি।
মানুষের জীবন স্রোতে মিশে আছে টুসু। এতেই লুকিয়ে তার সাম্প্রতিকতা। আর ইতিহাসের ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়ে আছে ভাষা সেনানিদের হাতিয়ার হিসেবে। জেলা-রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে মালভূমির চড়াই-উৎরাইকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে মাটির এই উৎসব।
ছবি – অমিত সিং দেও
আরও পড়ুন –
রাস্তায় অচেনা মহিলাদের চুম্বন, গ্রেপ্তার যুবক
মোদির হাতে চরকা, মহাত্মার অবমাননায় সরব বিরোধীরা