দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝ সমু্দ্রে ডুবে গেল তিনটি ট্রলার। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ১৯ জন মৎস্যজীবী। ট্রলার তিনটি শনিবার সকালে কাকদ্বীপ থেকে রওনা হয়েছিল বলে খবর। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলি হল, ফ্রেজারগঞ্জের এফবি মোল্লেশ্বর, কাকদ্বীপের এফবি জয়কৃষান ও এফবি শিবানী। শনিবার বিকেলে আবহাওয়া খারাপ হচ্ছে দেখে ট্রলারগুলি ফিরে আসার চেষ্টা করে। উপকূলের কাছাকাছি এসেই উত্তাল সমুদ্রে ডুবে যায় তিনটি ট্রলার।
কাকদ্বীপ ফিসারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, এখনও পর্যন্ত তিনটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের মধ্যে এফবি মোল্লেশ্বর ট্রলারে ছিলেন ১১ জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি ছ’জনের কোনও সন্ধান মেলেনি। অন্যদিকে কাকদ্বীপের এফবি জয়কৃষান ট্রলারের মোট ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জনকে উদ্ধার করা গেলেও, এখনও পর্যন্ত ১০ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। যদিও এফবি শিবানী ট্রলারের ১৭ জন মৎস্যজীবীকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঝকঝকে আবহাওয়া দেখেই শনিবার প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার ট্রলার কাকদ্বীপ থেকে মাঝ সুমদ্রে পাড়ি দেয়। আচমকাই এদিন বিকেল থেকে আবহাওয়ার গতিবিধি বদলে যায়। উত্তাল ঢেউ থেকে বাঁচতে রাতেই তড়িঘড়ি উপকূলে ফেরার চেষ্টা করেন মৎস্যজীবীরা। ফেরার পথেই ঘটে বিপত্তি। উপকূলের কাছাকাছি উত্তাল সমুদ্রে উলটে যায় তিনটি ট্রলার। এখনও পর্যন্ত ডুবে ট্রলারের ১৯ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনজন উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় তিনটি ট্রলার থেকে জলে পড়ে যান। উদ্ধার হওয়া ২১ জন মৎস্যজীবীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। নিখোঁজ ১৯ জন মৎস্যজীবীর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই কেঁদো দ্বীপের কাছে ট্রলার উলটে মৎস্যজীবী নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় হাওয়া অফিসের সতর্কবাণী উপেক্ষা করেই সমুদ্রে মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। এবার কিন্তু তেমন কোনও সতর্কবাণী ছিল না। আবহাওয়াও ভাল ছিল। তারপরেও ঘটল বিপত্তি। এখন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের চিন্তায় প্রহর গুণছেন পরিবারের লোকজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.