সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কোনও নির্দিষ্ট কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা হয়ে সেখানেই আবার চাকরি কেন? এসব সিপিএম আমলে হত। চাকরি দিতে হলে দলের অনেক কর্মী আছেন, তাঁদের দিন- কসবা কলেজ বিতর্কের মুখে গোটা রাজ্যের নিরিখে স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিজের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত মত বলে জানালেও এই প্রসঙ্গে সিপিএমকে তুলোধোনা করেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।
কসবা আইন কলেজের ঘটনায় যেমন দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত ধৃত সেই কলেজেরই ছাত্রনেতা ছিল। আবার সেখানেই অস্থায়ী একটি চাকরিও করত। এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে শনিবার কল্যাণের বক্তব্য,”আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি নেতা যাঁরা, তাঁদের সেই ইনস্টিটিউশনে অস্থায়ী চাকরি করা উচিত নয়। যদি চাকরি দিতেই হয় তৃণমূলের অন্য কর্মীরা আছে তাদের দিক না।” এই ইস্যুতেই উত্তরপাড়া কলেজের প্রসঙ্গও ওঠে। তখনই নাম ধরে ধরে সিপিএম আমলে কারা চাকরি পেয়েছিল সেই কথা টানেন সাংসদ। বলেন, “সিপিএমের আমলে কারা চাকরি পেয়েছে? যারা পেয়েছে তারা এখন স্থায়ী চাকরি করছে। সিপিএমের নেতাদের চাকরিতে ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছে। এরা তো সব ৩০ সাল পর্যন্ত চাকরি করবে। তা হলে আমাদের লোক ঢুকবে কোথায়? বিজেপির তখন জন্ম হয়নি। সিপিএম সব খেয়ে চলে গেছে।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ কলেজেও অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অভিযোগ উঠেছে, বেছে বেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা ও কর্মীদেরই নিয়োগ করা হয়েছে। ২০২২ সালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাতজন নেতা ও কর্মীকে কলেজে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের কথা স্বীকারও করেছেন কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। কাকদ্বীপ কলেজের পরিচালন সমিতির তিনি চেয়ারম্যান। যদিও তিনি জানিয়েছেন, “সে সময় ন্যাকের মূল্যায়ণ
চলছিল। তাই কলেজে কর্মীর প্রয়োজন ছিল। কারণ, কলেজে স্থায়ী কর্মীর অপ্রতুলতা রয়েছে। সে কারণেই গভর্নিং বডির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই কয়েকজনকে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে সে সময় নিয়োগ করা হয়।” টিএমসিপি নেতা ও কলেজের অস্থায়ী কর্মী তৌসিফ সরদার বলেন, “ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে আমাদের নিয়োগ হয়েছিল। যার ভিত্তিতে এখন আমরা ৬ হাজার টাকা করে বেতন পাই।” অন্যদিকে, ভাঙড় কলেজেও একই ইস্যুতে অভিযোগ সামনে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.