সুবীর দাস, কল্যাণী: বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। কল্যাণীর রথতলা এলাকায় বিক্ষোভের মুখে দুই বিজেপি বিধায়ক। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন। পালটা এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব পদ্ম বিধায়করা।
শুক্রবার কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে ৪ মহিলার মৃত্যু হয়। নিহতেরা হলেন বছর ষাটের বাসন্তী চৌধুরী এবং অঞ্জলি বিশ্বাস। বাকিরা হলেন পঁয়ত্রিশ বছর বয়সি রুমা সোনার এবং বছর চল্লিশের দুর্গা সাহা। এই ঘটনায় এক মহিলা জখম হন। তিনি বছর উনপঞ্চাশের উজ্জ্বলা ভুঁইয়া। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। সরু গলিতে ওই বাজি কারখানাটি হওয়ায় সেখানে দমকল পৌঁছতেও সমস্যা হয়। তাই বাধ্য হয়ে ওই কারখানা চত্বরে থাকা টিউবওয়েল থেকে বালতি করে জল ঢেলে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে বাজি কারখানা গড়ে উঠল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার পরই কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযোগ, তাঁদের লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। যদিও পুলিশ কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পদ্ম বিধায়কদের নিরাপদে ওই এলাকা থেকে বের করে আনে পুলিশ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক অম্বিকা রায়। তাঁর অভিযোগ, কারখানা চত্বরে দমকল ঢোকার রাস্তা নেই। রাস্তা বেহাল। তাই এমন পরিস্থিতি হয়েছে। কেন এতদিন ধরে বাজি কারখানা চললেও, তা সকলের এড়িয়ে গেল – সেই প্রশ্নও তোলেন বিজেপি বিধায়ক। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.