Advertisement
Advertisement

Breaking News

পড়ার ফাঁকে রূপসজ্জার প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘স্বাবলম্বী’ জঙ্গলমহলের কন্যাশ্রীরা

উদ্যোগী পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন৷

Kanyashree girls are self dependent
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 25, 2018 5:13 pm
  • Updated:November 25, 2018 5:13 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পেডিকিওর-মেনিকিওর থেকে ওয়্যাক্সিং। কনে সাজানো থেকে হেয়ার কাটিং। রূপসজ্জার পাঠ নিয়ে আজ ‘স্বাবলম্বী’ কন্যাশ্রীরা। তাই লেখাপড়ার ফাঁকে রূপসজ্জার কাজ করে উপার্জন করছেন কিশোরীরা। পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকের কিশোরীরা উৎসবের মরশুমে এই কাজ করে মোটা টাকা আয় করেছেন। যা ‘কন্যাশ্রী স্বাবলম্বী’ প্রকল্পে নজর কেড়েছে পুরুলিয়ায়।

[দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস, গ্রেপ্তার তিন]

গত বছর থেকেই এই জেলায় ‘কন্যাশ্রী স্বাবলম্বী’ প্রকল্প চালু করেছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। সেই প্রকল্পেই মুক্তিধারার সঙ্গে কনভারজেন্স করে হুড়া ব্লক প্রশাসন এই এলাকার তিরিশ জন কন্যাশ্রীকে গত দু’মাস ধরে রূপসজ্জার পাঠ দেয়৷ এই কাজে দক্ষ একটি এক্সপার্ট সংস্থার মাধ্যমে কন্যাশ্রীদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের শংসাপত্রও দিয়েছে হুড়া ব্লক প্রশাসন। আসলে কন্যাশ্রী প্রকল্প সারা বিশ্বে নজর কাড়ার পরই অন্যান্য জেলার মত পুরুলিয়াও এই কাজে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম এই রূপসজ্জা।

Advertisement

Kanyashree

Advertisement

হুড়া ব্লক প্রশাসন চাইছে, এই কাজের মধ্য দিয়েই কন্যাশ্রীদের স্বনির্ভর করতে। হুড়ার বিডিও শুভায়ু কাশ্যপি বলেন, “কন্যাশ্রীদের নিয়ে আমার ব্লকে নানা কাজ চলে। ‘কন্যাশ্রী স্বাবলম্বী’ নামে জেলার প্রকল্পে আমরা রূপসজ্জার কাজ নিয়েছি। এই কাজ দারুন ভাবে এগোচ্ছে। কিশোরীরা এই কাজে ভীষণই উৎসাহী। তাঁরা রূপসজ্জা শিখে টাকাও আয় করছে। উৎসবের মরশুমে এই কাজ করে তাঁদের হাতে টাকা এসেছে।”

[পলাশিপাড়ায় শুটআউট, পরকীয়া সন্দেহে বন্ধুকে লক্ষ্য করে গুলি যুবকের]

হুড়া ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা এই কাজ ঘরে বসেই করছে। এমনকি এই কন্যাশ্রীরা যে রূপসজ্জার পাঠ নিয়েছে তা প্রচার হয়ে গিয়েছে এলাকায়। ফলে নিয়মিত বাড়ি-বাড়ি থেকে তাঁদের ফোন আসছে। এই কাজ শেখা কন্যাশ্রী দলদলি গ্রামের সুলেখা মাহাতো, লধুড়কার সোনালি দে বলে, “আমরা যে এভাবে রূপসজ্জার কাজ শিখে টাকা আয় করতে পারব তা কখনও ভাবিনি। হাতে টাকা আসায় সংসারেও দিতে পারছি।” ফলে আক্ষরিক অর্থেই হুড়ায় কন্যাশ্রীরা আজ স্বাবলম্বী। হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাতো বলেন, “কন্যাশ্রীরা স্বাবলম্বী হওয়ায় বাল্যবিবাহ একেবারেই কমে যাবে৷ গাঁ-গঞ্জের মেয়েরাও যে লেখাপড়া করতে-করতে রূপসজ্জার মত কাজ শিখে আয় করতে পারেন তা আমরা দেখিয়ে দিলাম।”

ছবি: অমিত সিং দেও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ