গৌতম ব্রহ্ম: প্রণামীর টাকা এবার খরচ হবে উন্নয়নে! সমুদ্রভাঙন ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ মেনে কপিলমুনি মন্দির কমিটি প্রণামী ও দান বাবদ সংগৃহীত অর্থের ২৫ শতাংশ কংক্রিট গার্ডওয়াল তৈরির জন্যে খরচ করতে সম্মত হল। এতদিন প্রণামী বাবদ আদায় হওয়া বিপুল অর্থ উত্তরপ্রদেশে চলে যেত। এবার কিছুটা উন্নয়নে খরচ হবে।
প্রতি বছর গঙ্গাসাগরে কোটি কোটি তীর্থযাত্রী আসেন পুণ্যের আশায়। শুধু মকরস্নানের জন্যেই গত বছর এক কোটি পুণ্যার্থী এসেছিলেন সাগরে। এই দানের সেই পুরো টাকাটাই চলে যায় উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় মূল মন্দিরে। এই নিয়ে বাংলার তরফে যথেষ্ট ক্ষোভ ছিল। মেলাপ্রাঙ্গণের উন্নয়নে কেন প্রণামী থেকে সংগৃহীত অর্থ খরচ হবে না? বিষয়টি নিয়ে বহুবার খবর হয়েছে। আলোচনা হয়েছে। কিন্তু নিজের থেকে কখনও মন্দির কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেনি। সোমবার কপিলমুনির আশ্রমের প্রতিনিধির উদ্দেশে হেলিপ্যাডের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মেলা থেকে যা আয় হয়, সবটাই তো উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেন। এতে আমার আপত্তি নেই। তবে মন্দিরের সামনের রাস্তার সৈকত লাগোয়া অংশ কংক্রিটের করে দিলে ভালো হয়। এতে পুণ্যার্থীদের সুবিধে হয়।”
মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “মুড়িগঙ্গার উপর সেতুটা আমার রাজ্য সরকারের তরফে করে দিচ্ছি। কপিলমুনির মোহন্তকে এবারে আমি একটা রিকোয়েস্ট করেছিলাম, যে মেলাকে কেন্দ্র করে যেভাবে এক কোটির উপর মানুষ আসেন, সেখান থেকে যা আয় হয় তার সবটা অযোধ্যায় না পাঠিয়ে ২৫ শতাংশ টাকা দিয়ে মন্দিরটা যদি কংক্রিটের করে দেন, যাতে জলে ডুবে না যায়। উনি রাজি হয়েছেন।” মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের তরফে সঞ্জয় দাস ঘোষণা করেন, এবার মেলায় পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে যে টাকা আয় হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্রংক্রিটের গার্ডওয়াল তৈরির কাজে ব্যবহার হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.