১৭ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  শনিবার ২ ডিসেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

৭২ দিন পর ভক্তদের জন্য খুলল গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির মন্দির, জীবাণুমুক্ত করে চলল পূজার্চনা

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: June 8, 2020 6:25 pm|    Updated: June 8, 2020 7:15 pm

Kapil Muni Temple at Gangasagar opened for pilgrims after 72 days lockdown

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: আনলক ওয়ান পর্বের দ্বিতীয় দফায় আজ থেকে ভক্তদের জন্য খুলে গেল গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির মন্দিরের দরজা। জীবাণুমুক্ত করার পর শঙ্খধ্বনি ও পুজোপাঠের মধ্যে দিয়ে ভক্তরা কপিল মুনিকে শ্রদ্ধা জানালেন।

সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার পর ভক্তরা সাগরে পূণ্যস্নান সেরে কপিল মুনিকে পুজো দেন। এদিন পুরো মন্দির চত্বর জীবাণুমুক্ত করা হয়। মন্দির খুলতেই স্থানীয় মহিলাদের শঙ্খধ্বনিতে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। করোনা সংক্রমণ রুখতে ৭২ দিন পর মন্দিরের দরজা খুলে যাওয়ায় স্বভাবতই খুশি ভক্তরা।

[আরও পড়ুন: আমফান বিধ্বস্তদের ত্রাণ বিলিতে বাধা, বাগদার বিজেপি বিধায়ককে ‘হেনস্তা’ পুলিশের]

স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে এদিন মন্দিরে পুজো দেন স্থানীয় বিধায়ক এবং গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন পর্ষদের সেক্রেটারি শম্ভুদীপ সরকার, ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজ নিমাই মহারাজ এবং গঙ্গাসাগর উপকূল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশিস রায়। এই আবহে পুজো দেওয়ার ভিড় এড়াতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন দশজন করে ভক্ত কপিলমুনির মন্দিরের ভিতর রোটেশন ভিত্তিতে পুজো দিতে পারবেন। দশজন ভক্ত পুজো দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরের দশজন আবার মন্দিরে পুজো দিতে ঢুকবেন। প্রত্যেককে মাস্ক পরে মন্দিরে ঢুকতে হবে। এসব দেখভালের জন্য মন্দিরের ভিতর যথেষ্ট নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে বাতিল কামাখ্যার অম্বুবাচী মেলা, ১ মাস বন্ধ থাকবে মন্দিরের ফটক]

গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বঙ্কিম হাজরা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ রোধে মন্দিরের পুরোহিত জ্ঞানদাস মহন্তকে মন্দির বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ৭২ দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ রেখেছিলেন। যদিও মন্দিরের ভিতরে নিয়মিত পূজার্চনা চলত। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মেনেই এদিন কপিল মুনির মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল। স্বাস্থ্য দপ্তরের বিধি মেনে যাতে কপিল মুনির মন্দিরে এখন পুজো দেওয়া হয়, ভক্তদের কাছে তার অনুরোধ জানান বঙ্কিমবাবু। এদিন মন্দির চত্বরে বহিরাগত ভক্তদের ভিড় না থাকলেও স্থানীয় মহিলা ভক্তরাই ভিড় জমিয়েছিলেন বেশি।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে