সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ১৬ বছর ধরা চলা মামালার অবশেষে নিষ্পত্তি। খাদিমকর্তা পার্থ রায়বর্মনকে অপহরণের অভিযোগ দোষী আটজনকেই যাবজ্জীবনের সাজা শোনাল আদালত। সোমবার এই ল্যান্ডমার্ক মামলার রায় ঘোষণা হল।
[ নবদম্পতিদের জন্য মোটা অঙ্কের বিমা, গণবিবাহের আসরে অন্য উপহার ]
বাংলায় খাদিমকর্তা অপরহরণের বিচার এক বিশেষ মামলা। দীর্ঘ ষোল বছর ধরে চলছে বিচারপ্রক্রিয়া। দুই পর্যায়ে এই মামলা চলে। এদিন দ্বিতীয় দফার বিচার শেষে অপরাধীদের সাজা শোনায় আদালত। গত ৮ ডিসেম্বর আট অপরাধীকেই দোষী বলে সাব্যস্ত করা হয়েছিল। আজ তাদের সাজা ঘোষণা হল। যদিও আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট নয় আসামীপক্ষের আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, অপহরণের পর মুক্তিপণ চাওয়ার কারণেই এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু রায়বর্মন পরিবারের সদস্যদের যে সাক্ষ্য নেওয়া হয়, তাতে এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তা সত্ত্বেও দোষীদের সাজা ঘোষণা করা হল। বিচার তাই যথাযথ হয়নি বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের সিদ্ধান্ত এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার। এদিকে এই মামলায় আরও কয়েকজন দোষী আছে। যারা এই মুহূর্তে অন্য মামালার খাতিরে ভিন্ন রাজ্যে আছে। পরে তাদেরও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
[ তাড়িয়ে দিয়েছে সন্তানরা, স্থানীয় যুবকদের হাত ধরেই বাঁচার পথ পেলেন বৃদ্ধ ]
আগেই আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল নইম ওরফে তারিক মেহমুদ, আরশাদ ওরফে আসলাম, দিলসাদ, শাহবাজ, উমর জালাল, মোজ্জামেল শেখ ও আখতারকে। আরশাদ, নইম ও দিলসাদ পাক নাগরিক। সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ জানিয়েছিলেন, এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মামলা। ভারতবর্ষের একাধিক রাজ্য এমনকী পাকিস্তানের নাগরিকও এই ঘটনায় জড়িত। তিনজনের ই-মেল লেনদেন এবং এফবিআইয়ের সাহায্য তদন্তে অগ্রগতি আসে। তিলজলা থেকে বসিরহাট। সেখান থেকে দুবাই। এভাবেই ঘটনার জাল ছড়িয়েছিল। ঘটনার মূল চাঁই আফতাব আনসারি কখনও দুবাই কখনও পাকিস্তান থেকে ফোনে আসামীদের সঙ্গে কথা বলেছে। ২০০৯ সালের মে মাসে প্রথম পর্বের বিচার শেষ হয়। তখন আফতাব আনসারি-সহ পাঁচ জনের সাজা ঘোষণা হয়ে যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচারের সাজা ঘোষণা হল মঙ্গলবার।
[ যৌনপল্লির কচিকাঁচাদের সঙ্গে প্রথম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন এই দম্পতির ]
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ২৫ জুলাই খাদিম কর্তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রথমে তাঁর মুক্তিপণের জন্য ২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। পাঁচ কোটিতে রফা হওয়ার পর শেষ মুহূর্তে ৩.৭৫ কোটি টাকা রাজি হয় অপহরণকারীরা। সিআইডি সূত্রে খবর, হায়দরাবাদের একটি হোটেলে লেনদেন হয়েছিল। হাওয়ালা বা হুন্ডির মাধ্যমে এই অর্থ দুবাইতে চলে যায়। ঘটনার মাসখানেক পর দমদমের একটি অজ্ঞাত জায়গায় পার্থ রায়বর্মন ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এতদিন চলার পর এই মামলা অবশেষে নিষ্পত্তির মুখ দেখল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.