সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন মারধর। মদ্যপ স্বামীর এই অত্যাচারে রীতিমতো অসহনীয় হয়ে উঠছিল। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বুধবার। স্বামী মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে মারধর শুরু করতেই পালটা দেন স্ত্রী। গাছে বেঁধে চেলা কাঠ নিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। আচমকা এই আক্রমণ নিতে পারেননি রতন ঘোষ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূ অনিমা ঘোষকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুরের খাটরাঙা এলাকার গোয়ালারা গ্রামে
[গুজরাট নয়, বিশুদ্ধ দুগ্ধ উৎপাদনে দেশের সেরা এখন সুন্দরবনের সুন্দরিনী]
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃত রতন ঘোষের দুটি বিয়ে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হলেন অনিমাদেবী। প্রায় দশ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বলাবাহুল্য, দুই স্ত্রীকে নিয়ে একটাই পরিবার রতনবাবুর। অভিযোগ, রোজই নেশা করে বাড়ি ফিরতেন রতন ঘোষ। বাড়ি ফিরেই ছোটবউয়ের উপরে চলত অত্যাচার। এমন একটা দিন ছিল না যে মারধর থেকে রেহাই পেতেন অনিমাদেবী। কিন্তু দিনের পর দিন একই ঘটনা ঘটায় সহ্যের বাঁধ ভাঙছিল ওই গৃহবধূর। বুধবার পণ করে রেখেছিলেন, এবার আর শুধু মার খাবেন না। পালটাও দেবেন। সেইমতো সন্ধ্যাবেলা রতনবাবু বাড়ি ফিরতেই শুরু হয়ে যায় নিত্যদিনের হাঙ্গামা। তবে এদিন আর চুপ করে মার খাননি ওই গৃহবধূ। কোনওরকমে মদ্যপ স্বামীর হাত ছাড়িয়ে তাঁকেই দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। রান্নার জন্য ছিল চেলা কাঠ। সেই দিয়েই শুরু হয় মারধর। এতদিনের জমে থাকা রাগ যেন লাভাস্রোতের মতো নামতে শুরু করে। খুন চেপে যায় অনিমাদেবীর মাথায়। আতঙ্কে পরিবারের কেউ ধারেকাছে আসেননি। কখন যে স্বামী নেতিয়ে পড়েছে বুঝতে পারেননি অনিমাদেবী। বাড়ির লোকজনই খড়গপুর থানায় খবর দিলে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরিবারের লোকজনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনিমাদেবীকে আটক করা হয়েছে।