শঙ্কর রায়, রায়গঞ্জ: নিরাপত্তার ফাঁক গলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত রাবেরা খাতুন পেলেন চাকরি। উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসকের সুপারিশে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ওই তরুণী কাজ পেলেন। মহিলা ওয়ার্ডের রক্ষী পদে যোগ দিলেন রাবেরা খাতুন।
[বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল লেনিনের মূর্তি, ত্রিপুরা জুড়ে আক্রান্ত বামেরা]
করণদিঘির রসাখোয়ার ছাগলকাটি গ্রামে বাড়ি রাবেরা খাতুনের। দিদি সুলেখাকে নিয়ে তিনি কর্মস্থলে পৌঁছন। তারপর নিয়মমাফিক হাজিরা খাতায় সই করে জীবনের প্রথম চাকরিতে যোগ দেন। গত ৩ মার্চ জেলাশাসকের তৎপরতায় চাকরির পরিচয়পত্র দেওয়া হয় রাবেরা খাতুনকে। তারপর এদিন একটি বেসরকারি সংস্থা নিয়ন্ত্রিত ওই সরকারি হাসপাতালের ইনডোরের মহিলা ওয়ার্ডের নিরাপত্তারক্ষী পদে যোগদান করেন। এদিন কাজে যোগ দিয়ে রাবেরা খাতুন বলেন, “বাড়িতে নয় বোন এবং তিন ভাই। বাবাকে খুন করা হয়েছে। এই অবস্থায় চাকরিটা ভীষণ দরকার ছিল। তবে সরকারি চাকরি হলে ভাল হত।” জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বিষয়ে বলেন, “চাকরির জন্য নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কাছে রাবেরার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত চাকরি পেল। এটা ওর পক্ষে ভাল হল। ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তার চেষ্টা করা হবে।”
[জনগণ চাইলে নেতৃত্বহীন তামিলনাড়ুর নেতা হবেন রজনীকান্ত]
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি হেমতাবাদের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীন মঞ্চে রাবেরা ও তাঁর বোন আমুরা খাতুন মুখ্যমন্ত্রীর জেড প্লাস ক্যাটেগরি নিরাপত্তার ব্যারিকেড ভেঙে সরাসরি মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। আমুরাকে মঞ্চে ওঠার সিঁড়ির কাছে আটকে দিলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাবেরা। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে পড়ারও চেষ্টা করেন। তারপর অসুস্থ হয়ে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন টানা দশদিন। গত শনিবার ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে করণদিঘির বাড়িতে ফিরে যান। তারপর সোমবার চাকরিতে যোগদান করলেন।