Advertisement
Advertisement
KPC Medical College

অজান্তে বোতলের ছিপি গিলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট! জটিল অপারেশনে বাঁচলেন প্রৌঢ়া

গলার ওই অংশটি অবশ করে রোগিণী জেগে থাকা অবস্থাতেই (অ্যাওয়েক অ্যানাস্থেশিয়া) অপারেশনটি করা হয় সফল ভাবে।

KPC Medical College successfully done a critical operation

প্রতীকী ছবি।

Published by: Arpan Das
  • Posted:May 10, 2025 8:43 am
  • Updated:May 10, 2025 2:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী বিপদ!

বোতল খুলে ট্যাবলেট খাওয়ার সময় জলের সঙ্গে ছিপি ও গলায় চলে গেল এক বৃদ্ধার। বৃদ্ধা ভাবলেন গলায় বুঝি বা ট্যাবলেট আটকে আছে। কিন্ত সময় যত কাটতে লাগল গলায় ব্যাথা আর শ্বাসকষ্ট ততই বাড়তে লাগল। আত্মীয় স্বজন যখন হাসপতালের আউটডোরে আনলেন তখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা।

Advertisement

আচমকা খাবি খেতে শুরু করেন। শুরু হয় ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট।

চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে বোঝেন, ল্যারিঙ্গসের ঠিক মুখের কাছে ছিপিটি এমন ভাবে আটকে রয়েছে যে শ্বাসনালী প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এবং ছিপির যা অবস্থান, তাতে প্রথাগত ব্রঙ্কোস্কোপি বা ল্যারিঙ্গোস্কোপির সাহায্যে ‘ফরেন বডি’ বের করা অসম্ভব। সময় নষ্ট না করে ঝুঁকি নিয়েই তখন দূরূহ অপারেশনটি শুরু করেন যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ দ্বৈপায়ন মুখোপাধ্যায়। বের হয় জনপ্রিয় নরম পানীয়র পেট বোতলের ছিপি। আপাতত ভালো আছেন রোগিনী। আটষট্টির ওই বৃদ্ধা। দু’–একদিনের মধ্যেই তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। বাপুজিনগরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা ট্যাবলেট খেতে গিয়ে গলায় কিছু একটা আটকে যাওয়ায় ভেবেছিলেন, ট্যাবলেটটাই আটকে গিয়েছে। জল খেয়েও সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় এবং কষ্ট বাড়তে থাকায় স্থানীয় কেপিসি হাসপাতালের ইএনটি আউটডোরে আসেন। আর সেখানেই শুরু হয় প্রাণঘাতী শ্বাসকষ্ট। একেবারে দম আটকে যায় তাঁর। দ্বৈপায়ন জানান, কালক্ষেপ না করে এন্ডোস্কোপি করা হয়। তাতেই বোঝা যায়, ট্যাবলেট নয়, শ্বাসনালীর দোরগোড়ায় আটকে রয়েছে বোতলের ছিপি।

ইএনটি–র ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘অজান্তে ছিপি গিলে শ্বাসরোধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে, দীর্ঘ কেরিয়ারে এমন রোগী এই প্রথম দেখলাম। ভয় ছিল, সেটি ফরসেপ দিয়ে বের করতে গেলে পিছলে গিয়ে শ্বাসনালীর আরও গভীরে না চলে যায়! তাই একটি হিঞ্জ ব্যবহার করে সন্তর্পনে সেটি বের করে নেওয়া হয় অল্প সময়ের মধ্যেই।’ তিনি জানান, কাজটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, ছিপিটির অবস্থানের কারণেই শ্বাসনালীতে টিউব পরিয়ে অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া যায়নি। ফলে গলার ওই অংশটি অবশ করে রোগিণী জেগে থাকা অবস্থাতেই (অ্যাওয়েক অ্যানাস্থেশিয়া) অপারেশনটি করা হয় সফল ভাবে। সময় নষ্ট না হওয়ার জন্যই এড়ানো গিয়েছে ষোলো আনা শ্বাসরোধ হয়ে গিয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো প্রাণঘাতী বিপদ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement