Advertisement
Advertisement
Krishanu Nandi Chandrayaan 3

গ্রামের ‘হাতে চাঁদ’, চন্দ্রযান ৩ প্রজেক্টে শরিক বাঁকুড়ার কৃশানুও

পাত্রসায়েরের ডান্না গ্রামের বাসিন্দারা আজ গর্বিত।

Krishanu Nandi of Bankura is integral part of Chandrayaan 3 । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 17, 2023 10:05 am
  • Updated:July 17, 2023 10:06 am

দেবব্রত দাস, পাত্রসায়ের: ছোট থেকেই ঝোঁক মহাকাশ বিজ্ঞানে। বরাবর পড়াশোনায় ভাল এই পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কৃষক পরিবারের ছেলেটার সেই স্বপ্ন বৃথা যায়নি। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় কর্মরত বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার ডান্না গ্রামের কৃশানুর নাম যে আজ ইতিহাসে। ইসরোর ঐতিহাসিক চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) প্রজেক্টে শামিল কৃশানু নন্দীকে নিয়ে ডান্না গ্রামের বাসিন্দারা আজ গর্বিত।

কৃতী এই ইঞ্জিনিয়ারের পরিবার থেকে শুরু করে তাঁর পড়শিরা বলছেন, বছর তিনেক আগে ইসরোর চন্দ্রযান ২ প্রজেক্টে ছিলেন না কৃশানু। তবে এবার চন্দ্রযান ৩ অভিযানের দলে কাজের সুযোগ হয়েছে । কৃশানু এখন চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি ছোঁয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। চাঁদের মাটিতে রোভার বা রোবট গাড়ির গতিবিধির সমন্বয় ও তা নিয়ন্ত্রণের মতো জটিল বিষয়টি নিয়ে ইসরোর ইঞ্জিনিয়ারদের যে দলটি দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন তাঁদের মধ্যেই অন্যতম এই কৃতী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বসিরহাটে শুটআউট! দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু তরুণের, আহত ১, এলাকায় তীব্র আতঙ্ক]

পাত্রসায়েরের কৃষক পরিবারের সদস‌্য ত্রিশোর্ধ্ব এই ইঞ্জিনিয়ারের বাবা তারাপদ নন্দী বলেন, “ছোট থেকেই পড়াশোনায় ছেলে ভাল। স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। এরপর পরীক্ষা দিয়ে ইসরোয় চাকরি পেয়েছে। চন্দ্রযান-৩ অভিযানে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৃশানুও রয়েছেন। চন্দ্রযান-৩ অভিযান সফল হোক গোটা দেশবাসীর মতো আমরাও তাই চাইছি। সকলের পরিশ্রম যেন বৃথা না যায়।” উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার পরে বিটেক করেন কৃশানু। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমটেক করেন এই কৃতী। বরাবরের মেধাবী কৃশানু নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেছেন। বর্তমানে ইসরোর বেঙ্গালুরুতে কর্মরত।

Advertisement

কৃশানুর দিদি প্রাথমিক স্কুলশিক্ষিকা দেবিকা নায়েক বলেন, “ছোট থেকে চাপা স্বভাবের ভাই। পড়াশোনায় বরাবর ভাল রেজাল্ট করেছে। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন ছিল ওর। তাই উচ্চমাধ্যমিকের পর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় চাকরি করবে, সেই স্বপ্নও দেখত ছোট থেকে। চন্দ্রযান-৩ অভিযান প্রজেক্টে আমার ভাই রয়েছে জেনে ভীষণ গর্ব হচ্ছে। চন্দ্রযান-৩ অভিযান সফল হলে ভাইয়ের স্বপ্নপূরণ হবে। আমরা সাফল্য কামনা করছি।” প্রচণ্ড ব‌্যস্ততার মাঝে সুদূর বেঙ্গালুরু থেকে কৃশানু বলেন, “চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি ছোঁয়ার পরে রোভার বা রোবট গাড়ির গতিবিধি সমন্বয় করে নিয়ন্ত্রণ করাই এখন বড় কাজ। সেই কাজে এখন নিয়োজিত রয়েছি। দেশের কাজে অংশ নিতে পেরে গর্বিত আমি।”

[আরও পড়ুন: ‘গেরুয়া চাপিয়ে যেটুকু করে খাচ্ছেন, একবিন্দুও জুটত না’, স্বামীজি-রামকৃষ্ণর নিন্দুককে তোপ শ্রীজাতর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ