Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘কিয়ান্ত’ সরলেও বৃষ্টি হবে কালীপুজোয়

‘কিয়ান্ত’-এর প্রভাবে বৃহস্পতি-শুক্র দু’দিনই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পাবে দক্ষিণবঙ্গ৷

Kyant can bring rain in Diwali

ফাইল ছবি

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 27, 2016 8:48 am
  • Updated:January 6, 2020 5:04 pm

স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে বাংলার ফাঁড়া কাটল৷ অন্ধ্র উপকূলের দিকে সরে গেল ঘূর্ণিঝড় ‘কিয়ান্ত’৷

তবে অস্বস্তি কিছুটা থাকছেই৷ মেঘলা আকাশ মাথায় নিয়েই কালীপুজো করতে হবে বাঙালিকে৷ থাকছে হালকা বৃষ্টির ভ্রুকুটিও৷ এমনটাই জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ রাজ্য সরকার অবশ্য সতর্ক থাকছে৷ খোলা থাকছে সেচ দফতরের ‘কন্ট্রোল রুম’-ও৷

Advertisement

বুধবার আবহাওয়া দফতর ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ‘কিয়ান্ত’ যদি হঠাৎ করে অভিমুখ বদলে গাঙ্গেয় উপকূলে হানা দেয়, এমন সম্ভাবনা মাথায় রেখেই এই বৈঠক৷ যদিও এদিন সন্ধ্যায় আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, সেই সম্ভাবনা কার্যত নেই৷ গোপালপুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিমি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ‘কিয়ান্ত’৷ ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ পশ্চিম-ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অন্ধ্র উপকূলের দিকে সরে যাচ্ছে৷ তবে শেষ পর্যন্ত কিয়ান্ত স্থলভাগে আছড়ে পড়বে কি না তা নিয়ে এদিন রাত পর্যন্ত কিছু স্পষ্ট করতে পারেনি মৌসম ভবন৷

Advertisement

সাইক্লোন বিভাগের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম৷ মনে হচ্ছে কিয়ান্ত সমুদ্রের গর্ভেই শক্তিক্ষয় করে মিলিয়ে যাবে৷ তবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রের দক্ষিণ ও তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূলে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে ৬৫ কিমি বেগে বইবে ঝড়৷ ওড়িশা উপকূলেও আজ থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ অন্ধ্রে ২৮-৩০ অক্টোবর, তামিলনাড়ুতে ২৯-৩১ অক্টোবর  সতর্কতা থাকছে৷

কম হলেও এ রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে৷ এদিন সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা৷ দুপুরে কয়েক জায়গা ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়৷ গণেশবাবু জানিয়েছেন, ‘কিয়ান্ত’-এর প্রভাবে বৃহস্পতি-শুক্র দু’দিনই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পাবে দক্ষিণবঙ্গ৷ শনিবার, কালীপুজোর দিনও আকাশ মেঘলা থাকবে৷ হতে পারে বৃষ্টিও৷

তবে ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রের দিকে সরে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন পুজোকর্তারা৷ হালকা বৃষ্টি সামাল দেওয়া যাবে, কিন্তু সাইক্লোনের ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা বেশিরভাগ মণ্ডপেরই নেই৷ সমস্ত আয়োজন লন্ডভন্ড হয়ে যেত৷ আঁধার নেমে আসত দীপাবলিতে৷ পুজোকর্তারা তাই বলছেন, “মা কালীই খাঁড়া দিয়ে কিয়ান্তের ফাঁড়া কেটে দিলেন৷” কেউ আবার বলছেন, হালকা বৃষ্টি হওয়া ভাল৷ কালীপুজোর দিন যে হারে বাজি ফাটে, বিষ মেশে বাতাসে, তাতে হালকা বৃষ্টি হলে দূষণের মাত্রা কম থাকবে৷ হাঁফ ছেড়েছেন চাষিরাও৷ মাঠ ভর্তি পাকা ধান, সবজি৷ কিয়ান্ত-এর খাঁড়া নেমে এলে সবই মাঠে মারা যেত৷ মৎস্যজীবীদের উপর অবশ্য নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে৷ সমুদ্র উত্তাল থাকবে৷ দিঘা-পুরীর সমুদ্রে পর্যটকদের নামতে নিষেধ করা হয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ