Advertisement
Advertisement
হাতি

মৃত তিন হাতির আত্মার শান্তিকামনায় হবে শ্রাদ্ধ, নেড়া হবেন গ্রামের মানুষ

শ্রাদ্ধের খরচ সংগ্রহে এখন বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন বিনপুরের সাতবাঁকি গ্রামের বাসিন্দারা৷

last rituals of elephants will be performed in Binpur of Jharkhand
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 15, 2019 8:44 pm
  • Updated:July 16, 2019 8:52 am

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত তিন হাতির আত্মার শান্তিকামনায় হবে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান৷ সমস্ত রীতি মেনে হবে যাগযজ্ঞ। বসবে কীর্তনের আসর৷ এবং ২১ জুলাই ঘাটক্রিয়ায় মস্তক মুণ্ডন করবেন গ্রামবাসীরা।আর সেই আয়োজনের খরচ জোগাড় করতে বিনপুরের কাঁকো অঞ্চলের সাতবাঁকি গ্রামের বাসিন্দারা এখন ঘুরছেন দোরে দোরে৷

[ আরও পড়ুন: গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত ‘ভূত’, হাতেনাতে ধরা পড়েও পালাল অভিযুক্ত ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, গত ৯ জুলাই এই সাতবাঁকি গ্রামের বাসিন্দা বিরেন মাহাতো এবং তার ভাইয়ের জমিতে ঝু্লে থাকা হাইটেনশন লাইনে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মারা যায় তিনটি হাতি। বিরেন মাহাতো জানান, তিনটি হাতি মৃত্যুর পর থেকে চুল ,দাড়ি, নখ কাটেননি তিনি। ২১ জুলাই ঘাটে উঠে একেবারে মস্তক মুন্ডন করবেন। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে প্রায় হাজার ছয়েক মানুষকে খিচুড়ি খাওয়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্রনাথ মাহতো, মদন মাহাতোরা বলেন, “হাতি আমাদের কাছে ঠাকুর। তাই হাতি ঠাকুরের আত্মার শান্তির জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করব। চেষ্টা চলছে অঞ্চলের সব গ্রাম গুলিতে পৌছানো। আমরা ইতিমধ্যে মাগন শুরু করেছি।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, এই তিনটি হাতির বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুর পরই গ্রামে তাদের মূর্তি বসানোর দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু তাই নয়, হাতিদের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য পনেরো হাজার টাকাও চান তাঁরা। বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বিনপুরের সাতবাঁকি গ্রামে। বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কর্মীদের গ্রামে কাজ করতে না দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ক্লাবে তাঁদের গাড়ি আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা৷ পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সমাল দেয়৷

 [ আরও পড়ুন: জঙ্গল তৈরিতে অন্তহীন পরিশ্রম, উলুবেড়িয়ার কানু যেন ‘আরণ্যক’এর যুগলপ্রসাদ ]

অন্যদিকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট তিন পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর ও বনদপ্তর৷ অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় ছ’মাস ধরে গ্রামের জমির উপরেই ঝুলে রয়েছে বিদ্যুতের হাইটেনশন তার৷ বারবার বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার অফিসে এনিয়ে অভিযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি৷ বনদপ্তর জানিয়েছে, ঘটনার দিন লালগড় থেকে প্রায় পঁচিশটি দলমা হাতির একটি পালকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে বিনপুরের কুশবনি জঙ্গল হয়ে মালাবতীর জঙ্গলের ভিতরের রাস্তা দিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই বিনপুরের কুশবনি জঙ্গল পেরিয়ে সাতবাঁকি গ্রামে চাষের জমির উপর ঝুলন্ত বিদ্যুতের তারে একটি পুরুষ এবং দুটি স্ত্রী হাতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ঘটনায় বিদ্যুৎ দপ্তরকে কাঠগড়ায় তুলেছে বনদপ্তর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ