ফাইল ছবি
রাজা দাস, বালুরঘাট: হোর্ডিং-ব্যানারে প্রচারে খামতি নেই। রাস্তায় বাইক থামিয়ে জরিমানাও করছে ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু, কাজের কাজ হচ্ছে না। এবার কানে মোবাইলে দিয়ে বাইক চালালে, চালকের লাইন্স বাতিলও করে দেওয়া হতে পারে। এমনই নির্দেশিকা জারি করল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের ট্রাফিক পুলিশ। শুধু তাই নয়, কানে মোবাইল দিয়ে কিংবা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি বা বাইক চালালে, কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা জানিয়ে বাস-ট্রামে স্টিকারও লাগানো হবে।
[প্রকাশ্য দিবালোকে যুবককে কুপিয়ে খুন, চাঞ্চল্য বৈদ্যবাটি স্টেশনে]
দুরন্ত গতিতে ছুটছে বাইক। কিন্তু, রাস্তার দিকে নজর নেই চালকের। মোবাইলে কথা বলতে ব্যস্ত তিনি। বাইকের চালক তো বিপদে পড়ছেনই, দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ পথচারীদেরও। গাড়ির চালকদের অবস্থাও তথৈবচ। গোটা রাজ্য জুড়েই বাড়ছে পথ দুর্ঘটনা। পরিস্থিতি এমনই যে, দুর্ঘটনা কমাতে আসরে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ‘সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ’ স্লোগান তুলে চলছে প্রচার। বাইক আরোহীদের সতর্ক করতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। আর এবার আইন না মেনে বাইক চালালে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল বালুরঘাট ট্রাফিক পুলিশ। কেউ যদি কানে মোবাইল দিয়ে শহরের রাস্তায় বাইক চালান, তাহলে তাঁর ড্রাইভিং লাইন্সেস বাতিল করা হতে পারে। তবে সবক্ষেত্রে যে এমনটা হবে, তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। মোবাইল কানে দিয়ে বা মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালালে আর কী শাস্তি হতে পারে, তা জানিয়ে বাসে-ট্রামে পোস্টার লাগাবে ট্রাফিক পুলিশ। ওসি (ট্রাফিক) সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে বালুরঘাট শহরে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বাইক বা গাড়ির চালক হয় মোবাইলে কথা বলছিলেন নয়তো মদ্যপ ছিলেন। তাই চালকদের সচেতন করতে লিফলেট বিলি ও গাড়িতে স্টিকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর আইন ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
[শ্রীঘর থেকে বেরিয়েই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মার যুবকের, চাঞ্চল্য তারকেশ্বরে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.