শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ফরাক্কার সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে স্টপেজের দাবি। শুক্রবার সকালে রেললাইনে বসে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। চলে স্লোগান। যার জেরে আটকে পড়ে মালদহগামী মালবাহী ট্রেন এবং জঙ্গিপুর গামী একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। চূড়ান্ত হেনস্তা হতে হয় যাত্রীদের। দীর্ঘক্ষণ পর রেলের আধিকারিকের আশ্বাসে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে আগে কাটিহার এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন দাঁড়াতো। কিন্তু করোনাকালে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর স্টপেজ দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অনেক দূরে গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বাসিন্দারা স্টপেজের দাবি করছিলেন। এবিষয়ে মালদহ ডিআরএমকে আবেদনও জানানো হয়েছিল। তাতেও লাভ হয়নি। এরপরই অবরোধের পথে হাঁটলেন স্থানীয়রা। শুক্রবার সকালে রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে রেল লাইনে বসে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। স্টপেজের দাবিতে ওঠে স্লোগান। যার জেরে একাধিক স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে।
অবরোধ তুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় প্রচুর রেল পুলিশ। যান মালদহ ডিভিশনের এডিআরএম শিবকুমার প্রসাদ। কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে এক মাসের মধ্যে কাঠিহার এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় রেলের তরফে। তারপরই অবরোধ ওঠে। যদিও এক মাসের মধ্যেই দাবি পূরণ না হলে ফের বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.