ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন। সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে তাঁদের বেশিরভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। তা নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই। এবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলতে বাধা দিলেন নিউ বারাকপুরের বাসিন্দারা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।
স্কুল, কলেজগুলিতেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী নিউ বারাকপুরের এপিসি কলেজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লোকমুখে তা গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই স্থানীয়রা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি হলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাই সেখানে কিছুতেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা যাবে না। বিক্ষোভের খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমে স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের কথা কানে নিতে চাননি বিক্ষোভকারী। পরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হবে না বলেই আশ্বাস দেয় পুলিশ। সেই আশ্বাস মতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবারও কার্যত একই ঘটনা ঘটেছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। এদিন আমডাঙার আদহাটা এলাকার একটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করতে গেলে বেঁকে বসে স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক আটকে চলে বিক্ষোভ। একই ছবি দেখা যায় আমডাঙার বোদাইয়েও। সেখানেও সংক্রমণের আতঙ্কে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরিতে আপত্তি জানান স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ চলে অবরোধ। হাবড়ার রাউতাড়া পঞ্চায়েত এলাকাতেও একইভাবে চলে বিক্ষোভ। বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশ আধিকারিকদের। শুক্রবার সকালেও বারাসতের একটি কলেজ স্যানিটাইজ করতে দেখেন স্থানীয়রা। এতেই স্থানীয়রা অনুমান করেন যে, ওই কলেজ তৈরি হতে চলেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ওই এলাকায় কোনওভাবেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা যাবে না বলে জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশ আধিকারিকদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.