চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: বছরভর গ্রামে প্রচুর কাজ করেছেন ‘দাদা’। অথচ লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই গ্রামেই কংগ্রেসের কোনও দেওয়াল লিখন চোখে পড়ছে না। নির্বাচনের নানা খরচে এখনও দেওয়াল লিখনের কাজ হয়ে ওঠেনি। তাই ‘দাদা’কে ভালোবেসে নিজেদের সাধ্যমতো অর্থ তুলে দিলেন গ্রামের গৃহবধূরা। মহিলাদের এহেন উদ্যোগে আবেগাপ্লুত ‘দাদা’ অধীর চৌধুরী।
একদা বহরমপুরের ‘রবিনহুড’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অধীর। সাধারণ মানুষের ভালো-মন্দের খেয়াল রেখে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন। ধীরে ধীরে বহরমপুর হয়ে ওঠে অধীর গড়। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হলেও এখনও যে অধীরের প্রতি ভালোবাসা পুরোপুরি উধাও হয়ে যায়নি, সেটাই প্রমাণিত হল নীলমণি মণ্ডলদের উদ্যোগে। বহরমপুর লোকসভার অন্তর্গত কান্দি থানার রণগ্রাম এলাকার এই মহিলাদের নিজেদের সংসার চলে কোনওক্রমে। দিনমজুর পরিবারের গৃহবধূরা ছাগল পালন করেন। সেখান থেকেই আসে সংসার চালানোর কিছু অর্থ। কিন্তু ভোটে যেখানে ‘দাদা’ অধীরের প্রচুর খরচ, সেখানে বোনেরা পাশে না দাঁড়ালে কি চলে? তাই ১১ জন মহিলা ঠিক করে ফেলেন, নিজেদের সাধ্যমতো অর্থ তুলে দেবেন অধীরের হাতে।
যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। রবিবার দুপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে গিয়ে অধীর চৌধুরীর হাতে নগদ ১১ হাজার টাকা তুলে দেন তাঁরা। নীলমণি মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের মনে হয়েছিল দাদাকে কোনওভাবে সাহায্য় করা উচিত। তাই আমরা মা-বোনেরা ঠিক করি যে যতটা পাবর টাকা জোগাড় করে দাদার হাতে তুলে দেব। তবে দাদার কাছে সব সময় পৌঁছতে পারি না। এদিন আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে এই টাকা দিতে পারায় খুব খুশি। উনি আমাদের জন্য অনেক করেছেন। অথচ আমাদের গ্রামেই কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন হয়নি।’’
মহিলাদের এহেন উদ্যোগে আবেগঘন অধীর বলেন, ‘‘এঁরাই ভালো কাজ করার শক্তি জোগান। চুরির টাকায় আমাদের দল চলে না। মহিলাদের এই উদ্যোগ তারই প্রমাণ।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.