নন্দন দত্ত, বীরভূম: অবৈধভাবে মজুত করা কয়লা চুরি রুখতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশকর্মীরা। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে গুলি চালানোর অভিযোগও। তাতে ৪-৫ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হন। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ খারিজ করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর এলাকা।
দিনকয়েক ধরে নোয়াপাড়ার জঙ্গলে অবৈধভাবে কয়লা মজুত চলছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে আসা কয়লা পাচারকারীরা এই কাজ করছিল বলেই খবর পায় পুলিশ। বেশ কয়েকজন কয়লা কারবারি ওই এলাকায় আত্মগোপনও করেছিল। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় ওই এলাকা থেকেই কয়লা চুরি চলছে। কয়লা পাচার রোখার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। আর সে কারণেই শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী।
কয়লা পাচার রুখতে গিয়ে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ বেঁধে যায়। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়। ডাম্পারেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আরও পুলিশ পৌঁছায়। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ছোঁড়া হয় রবার বুলেটও। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামবাসীদের হামলায় কাঁকড়তলা থানার ওসি-সহ ৬ জন পুলিশকর্মী জখম হন।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় পুলিশ। তাতেই ৪ জন গ্রামবাসী জখম হয়েছেন বলেও দাবি বিক্ষোভকারীদের। যদিও সে অভিযোগ খারিজ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র রবার বুলেট ছোঁড়া হয়। এই ঘটনার পর নোয়াপাড়া মোড়ে জমায়েত হন স্থানীয়রা। এখনও থমথমে গোটা গ্রাম। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন করে আর কোনও অশান্তি রুখতে আপাতত এলাকায় কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.