Advertisement
Advertisement
Locals showed protest to central committee about MNREGA scheme

‘কবে পাব ১০০ দিনের কাজের টাকা?’, পিংলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

মেমারিতেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।

Locals showed protest to central committee about MNREGA scheme । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 18, 2023 8:03 pm
  • Updated:January 18, 2023 8:03 pm

সম্যক খান ও সৌরভ মাজি: একশো দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার খড়গপুর দুই নম্বর ব্লকের জনার্দ্দনপুরে তুমুল উত্তেজনা। আবাস যোজনায় বঞ্চিতদের তালিকা হাতে করে এলাকায় গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে আসা কেন্দ্রীয় সরকারের দুই প্রতিনিধি। তাঁদের হাতের কাছে পেয়ে একশো দিনের টাকা কবে পাওয়া যাবে তা জানতে চেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় জনতা। বিক্ষোভকারীদের সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাব‌্যক্তিদের।

গত মঙ্গলবার সন্ধেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় গনগনি গেস্ট হাউসে চলে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। তাদের সঙ্গে রাতেই সাক্ষাৎ করে একরাশ অভিযোগ জানান ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাটের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধিদল। মূলত মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার সবং, আরেক মন্ত্রী শিউলি সাহার এলাকা কেশপুর, বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির এলাকা পিংলা, বিধায়ক তথা সভাধিপতি উত্তরা সিংহর এলাকা গড়বেতার মতো এলাকাকে টার্গেট করে বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ জানানো হয়।

Advertisement

বুধবার প্রথমে জেলা কালেক্টরেটে এসে জেলাশাসক আয়েশা রানির সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওই দুই প্রতিনিধি। তারপরই তাঁরা যান অজিতবাবুর বিধানসভা এলাকা খড়গপুর দুই নম্বর ব্লকের লছমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রধান নান্টু মণ্ডলের হাতে একটি তালিকা তুলে দিয়ে ওই তালিকাভুক্ত ব‌্যক্তিরা কেন আবাস যোজনার বাড়ি পাননি তা জানতে চান। সেখান থেকে সোজা চলে যান জনার্দ্দনপুরে। সেখানেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগই লক্ষ্য, ‘দিদির দূত’ হয়ে গ্রামে গ্রামে শোভনদেব-সৌগত-জুন-শতাব্দী]

কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধির কাছে একশো দিনের টাকা কবে পাওয়া যাবে তা জানতে চান তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে বের করে আনা হয় প্রতিনিধিদলকে। বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপির তালিকা ধরে ধরে তা যাচাই করতে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। লছমাপুরে যে অভিযোগের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাদের ৯৯ শতাংশই পাকাবাড়ির মালিক। কেন্দ্রের গাইডলাইন অনুযায়ী তারা কোনওভাবেই বাড়ি পাওয়ার যোগ‌্য নন। ওই তালিকায় আবার বিজেপির আইটি সেলের এক নেতার আত্মীয়েরও নাম আছে। প্রতিনিধিদলকে প্রধান সেটা বোঝানোর পর তাঁরাও তা বুঝেছেন।” অজিতবাবুর অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিজেপি এভাবে কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে তার দলের নেতাকর্মীদের খুশি করতে চাইছে। এতে তাদের কোনও লাভ হবে না।

এদিকে, পূর্ব বর্ধমানের মেমারি-২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পরিদর্শনে যায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। বোহার-১ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে গিয়ে নথি যাচাই করে কেন্দ্রীয় দল। সেই সময় এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা এসে তালিকায় নাম না থাকা নিয়ে অভিযোগ জানাতে থাকেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেও পঞ্চায়েত বা বিডিও কার্যালয় থেকে তালিকায় নাম তোলা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। সেই সময় অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কাজল রায় তাঁদের বলেন কাগজপত্র নিয়ে তাঁর অফিসে দেখা করতে। তার পরেও কয়েকজন আরও কিছু বলতে গেলে কেন্দ্রীয় দলের সদস্য মনোজ পন্থ তাঁদের থামিয়ে দেন। বলেন, “এডিএম সাহেব বলছেন যখন তাঁর সঙ্গেই দেখা করুন আপনারা।” বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গলসি-১ ব্লক এলাকায় পরিদর্শনে যেতে পারেন।

[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নোবেলজয়ীরা কী বলছেন? এজলাসে বসেই প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ