টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: লাইসেন্স তো দূর অস্ত, দোকান ঘর তৈরির জন্য পঞ্চায়েতের অনুমতিও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাঁকুড়ার জুনবেদিয়ায় মদের দোকান বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাঁকুড়া শহর থেকে গঙ্গাজলঘাঁটি যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন তাঁরা। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও অবরোধ চলছে।
[আরও পড়ুন: কাটমানি বিক্ষোভে পুলিশের সামনেই বোমাবাজি বীরভূমে, অভিযানে উদ্ধার প্রচুর বোমা]
জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া পঞ্চায়েতের বনকাটি গ্রামে মদের দোকান খোলার চেষ্টা হয়। দোকান ঘর তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তিতে শেষপর্যন্ত অবশ্য দোকানটি আর চালু করা যায়নি। তখনকার মতো সমস্যা মিটে গিয়েছিল। গ্রামবাসীদের দাবি, দিন তিনেক আগে হঠাৎ দোকানটি চালু করা দেওয়া হয়। রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে মদ। ঘটনাটি নজরে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বনকাটি গ্রামের বাসিন্দারা। বুধবার সকালে রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে বাঁকুড়া থেকে গঙ্গাজলঘাঁটি যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, কোনও অবস্থাতেই গ্রামে মদের দোকান খুলতে দেবেন না তাঁরা।
এদিকে জুনবেদিয়া পঞ্চায়েতের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের অনুমতি না দিয়েই বনকাটি এলাকায় মদের দোকানের পাকা বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এমনকী, বনকাটি এলাকা মদের দোকান চালানোর লাইসেন্সও দোকান মালিকের নেই বলে অভিযোগ। তাহলে তিনি কীভাবে মদের দোকান খুললেন? জানা গিয়েছে, যিনি বনকাটি গ্রামে মদের দোকানটি খুলেছেন, তাঁর দোকানটি ছিল বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ধলডাঙা এলাকায়, জাতীয় সড়কের ধারে। কয়েক বছর আগে যখন জাতীয় সড়কের ধারে মদের দোকান নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট, তখন ওই দোকানটিও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই জুনবেদিয়া পঞ্চায়েতের বনকাটি গ্রামে দোকান খোলার চেষ্টা করেন ওই মদ ব্যবসায়ী। কিন্তু, গ্রামবাসীদের বাধায় সেবার পাকা বাড়ি তৈরি করেও দোকানটি চালু করতে পারেননি তিনি। বিষয়টি থিতিয়ে যেতেই ফের দোকানটি চালু করে দিয়েছেন।