Advertisement
Advertisement

Breaking News

নাবালিকার বিয়ে রুখবে ‘মা লক্ষ্মী’

সঙ্গে মিলবে টাকাও! জানেন কীভাবে?

'Ma Lakshmi' a new strategy to stop Child marriage
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 18, 2016 11:10 am
  • Updated:August 8, 2019 3:49 pm

রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নাবালিকার বিয়ে রুখবে ‘মা লক্ষ্মী’৷ না, ইনি কোনও দেবী নন৷ সরকারের এক প্রকল্পের নাম৷ অরণ্য সপ্তাহে গাছ লাগানোর পাশাপাশি নাবালিকার বিয়ে রুখতে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-২ নম্বর ব্লকের দাওয়াই হল এই ‘মা লক্ষ্মী’ প্রকল্প৷ এই প্রকল্পে গাছ সংরক্ষণের জন্য মাসে মাসে আর্থিক অনুদান পাবে দুঃস্থ নাবালিকার পরিবার৷ আর সেই গাছ বড় হওয়ার পর বিক্রি করে দেওয়া হবে এককালীন অনুদান৷ রবিবার এই অভিনব প্রকল্প চালু হল পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকে৷

পটাশপুরের বিডিও শুভজিৎ কুণ্ডু এদিন জানান, ব্লকের পক্ষ থেকে সরকারি জায়গা চিহ্নিত করে বন দফতরের সহযোগিতায় সেখানে গাছ লাগানো হবে৷ ওই গাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে এলাকার দুঃস্থ ছাত্রীদের শনাক্ত করে তাদের মায়েদের নিয়োগ করা হবে৷ প্রত্যেক মাসে গাছ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মায়েরা মাথাপিছু দু’ হাজার টাকা করে পাবেন৷ সেই সঙ্গে গাছ বড় হলে ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতি সেই গাছ বিক্রি করে যে টাকা রোজগার করবে, তা থেকে আড়াই হাজার টাকা ওই মায়েদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে৷ কিন্তু শর্ত একটাই, এই সময়কালের মধ্যে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না এবং লেখাপড়াও বন্ধ করা যাবে না৷ আর যদি তা করা হয় তাহলে এই দুই অনুদান থেকেই বঞ্চিত হবেন গাছ পরিচর্যার কাজে নিযুক্ত মহিলারা৷

Advertisement

রবিবার এই ‘মা লক্ষ্মী’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পটাশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ ও বিডিও শুভজিৎ কুণ্ডু৷ নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মারল প্রশাসন৷ এর ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষার কাজ অগ্রসর হবে, অন্যদিকে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করাতেও কার্যকর হবে৷ বিডিও শুভজিৎ কুণ্ডু বলেন, গাছ লাগানো ও নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করাটা আমাদের দায়িত্ব৷ কিন্তু আর্থিক পরিকাঠামোর অভাবে প্রায়ই নাবালিকাদের বিয়ের ঘটনা ঘটছে৷ তাই গাছ বাঁচানোর পাশাপাশি কীভাবে নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করা যায় সেই চিন্তা থেকেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে৷

Advertisement

পটাশপুর দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ জানান, নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়৷ তাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবার৷ আবার অনেক ক্ষেত্রে জানতে না পারায় নাবালিকার বিয়েও হয়ে যায়৷ তাই বিয়ে দেওয়ার আগেই পরিবারকে সতর্ক করতে ও দুঃস্থ পরিবারগুলির রোজগার বাড়াতে এমন একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে৷ সেইসঙ্গে বনসৃজনে লাগানো গাছও সুরক্ষিত থাকবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ