Advertisement
Advertisement
Mahua Moitra

‘ড্রেন-উঠোন পরিষ্কারের ভোট নয় এটা’, প্রচারে বিজেপিকে কটাক্ষ মহুয়ার

প্রখর রোদ উপেক্ষা করে রবিবাসরীয় প্রচার সারলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী।

Mahua Moitra is on poll campaign at Krishnanagar on Sunday
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 24, 2019 8:08 pm
  • Updated:March 25, 2019 9:11 am

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: ‘নমস্কার, খিদিরপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দাদের বলতে চাইছি, আমি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। শুনেছেন নাম? দেওয়ালে লেখা আছে। যাতে আপনারা আমাকে চেনেন তার জন্য আপনাদের দ্বারে দ্বারে এসেছি।’ এরকম কথাবার্তা বলতে বলতেই প্রখর রোদ-তাপকে উপেক্ষা করে রবিবাসরীয় প্রচার সারলেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। নাকাশিপাড়া ব্লকের বিজেপির দখলে থাকা পঞ্চায়েতে হুডখোলা জিপে কখনও বা পায়ে হেঁটে রবিবার সারাটা দিন ভোটারদের কাছে সরাসরি পৌঁছালেন।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মিসভা সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন মহুয়া। বুথওয়াড়ি সংগঠনও তৈরি। কৃষ্ণনগরে পুজো দিয়ে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে প্রথম রবিবাসরীয় প্রচার যখন শুরু করছেন তখন বেথুয়াডহরির এক পঞ্চায়েত এলাকার স্ট্যাচুর মোড় থেকে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন মহুয়া। ২৬টি বুথের এই পঞ্চায়েতে ২৪টি আসন রয়েছে। একটি নির্দল নিয়ে তৃণমূলের তিনটি আসন রয়েছে। তিনটি কংগ্রেসের। একটি সিপিএম। বাকি ১৭টি বিজেপির। কুড়ি হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে। ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষের বাসও রয়েছে এই পঞ্চায়েতে। এদিন, শিবানী রোড় ধরে বাজার এলাকাতে দোকানে ঢুকে প্রচার করেন এই তৃণমূল প্রার্থী। হাতজোড় করে নমস্কার কখনও বা হ্যান্ডশেক করেছেন ভোটারদের সঙ্গে। কাঁঠালবেড়িয়া পশ্চিমপাড়া, শিমুলতলা, খিদিরপুর, দাসপাড়া, মাঠপাড়া, কিষানমান্ডি, বিডিও অফিসের এলাকা হয়ে স্ট্যাচুর মোড়- প্রায় দশ কিমি এলাকা ঘুরেছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মন্দিরে পুজো দিয়ে রবিবাসরীয় ভোটপ্রচারে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে]

Advertisement

জিপসি গাড়ির পিছনে টোটো গাড়ি থেকে কর্মী-সমর্থকরা নেমে আসার আগে পরনে গোলাপি রঙের শাড়ি, স্নিকার পায়ে মহুয়া ভোটারদের কাছে পৌঁছে জানান দিয়েছেন, তিনি কে। পায়ে হেঁটে পাড়ার মধ্যে ঢুকে মাইক্রোফোন হাতে মহুয়া বলেন, ‘আপনারা আমাকে দেখবেন তবে তো মনে হবে আমি আপনাদের প্রার্থী। আর আমি কাজ করতে এসেছি।’ দম নিয়ে ফের বলেন, ‘এটা দেশ সামলানোর ভোট। ড্রেন, উঠোন পরিষ্কারের ভোট নয়।’ তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের সরকার কিছু না কিছু পৌঁছে দিয়েছে। কোথাও দু’টাকা কেজি চাল, কন্যাশ্রীর টাকা, রাস্তা যতটা পারি করেছি। আপনাদের কেউ করিমপুরে থাকলে জিজ্ঞাসা করবেন, আমি কী কাজ করেছি। তৃণমূল মাঠে নেমে বাঘের বাচ্চার মতো লড়ছে। আপনারা সত্যের দিকে থাকুন।’ ধীরে ধীরে ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে চারটে বেজে গিয়েছে। ততক্ষণে গোটা এলাকার প্রচার সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন নেত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ