সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ময়নাগুড়ির স্কুলে প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে কঠোর পদক্ষেপ নিল মধ্যশিক্ষা পর্যদ। তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।
[ পুরুলিয়া কাণ্ডে এবার দেশজুড়ে আন্দোলনে নামছে বিজেপি ]
এদিন কল্যাণবাবু জানান, প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ময়নাগুড়ির সুভাষনগরের শিক্ষক হরিদয়াল রায়। তাঁকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক চালকালীন এই গুরুতর অভিযোগ ওঠে। পর্ষদের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই প্রশ্নপত্রের প্যাকেট ওই শিক্ষক খুলে ফেলতেন বলে অভিযোগ। তারপর প্রশ্ন পাঠিয়ে দেওয়া হত স্কুলেরই মেধাবী ছাত্রের কাছে। মেধাতালিকায় স্কুল যাতে উঠে আসে সে কারণেই প্রধানশিক্ষক এই কাজ করতেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন আরও তিন শিক্ষক। যদিও পুরোটাই অস্বীকার করেছিলেন সুভাষনগর স্কুলের ওই শিক্ষক। কিন্তু ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয় পর্ষদ। গতকালই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। মেধাতালিকায় অবশ্য নেই ময়নাগুড়ির স্কুলটি। তাতে অনেকেই মনে করছেন যে, এ যাত্রায় হয়তো রেহাই পেয়ে গেলেন স্কুলের অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক। কারণ প্রশ্নফাঁস হলে স্কুলের মেধাবীরা আরও ভাল রেজাল্ট করত বলে সাফাই দেওয়ার জায়গা পেয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু পর্ষদ যে তদন্ত চালাচ্ছিল তাতে তাঁর দোষ প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ সময়ের আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে প্রশ্ন চালান করার ব্যাপারে নির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। এরপরই পর্ষদ রিপোর্ট দেয় সরকারের কাছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেহেতু স্কুলেই এই ঘটনা ঘটেছে, তাই প্রধান শিক্ষক কোনওভাবেই দায় এড়াতে পারেন না। ঘটনায় কঠোর শাস্তির পথেই হাঁটল পর্ষদ।
[ সার্ভিস রিভলবার পরিষ্কার করতে গিয়ে ছুটল গুলি, মৃত্যু এসআইয়ের ]
এছাড়া শৃঙ্খলাভঙ্গে অভিযুক্ত করা হয়েছেন শিক্ষক বিশ্বজি রায়কে। স্ট্রংরুমে ভিডিওগ্রাফি করার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। সতর্ক করা হয়েছে সম্রাট বিশ্বাসকে। স্কুল পরিদর্শক বিশ্বনাথ ভৌমিককেও শোকজ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.