স্টাফ রিপোর্টার, মালদহ: শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পুলিশের কাছে। প্রতিকার তো মিললই না, উলটে রক্ষকের বিরুদ্ধেই রক্ষার জন্য ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ উঠল। গাড়ির তেল খরচ বাবদ নগদ দু’হাজার টাকা না দেওয়ায় তদন্তই শুরু হয়নি। গাজোল থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন ঝুনু মণ্ডল নামে এক গৃহবধূ। পুলিশের বিরুদ্ধেই নিজের অভিযোগ নিয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মালদহ জেলা পুলিশ প্রশাসন।
[প্রৌঢ়াকে গণধর্ষণ ৩ মদ্যপের, শুধু মারধরের অভিযোগ নিল পুলিশ]
মালদহের গাজোল থানার ডোবাখোকসান গ্রামে বাড়ি ঝুনু মণ্ডলের। তাঁর স্বামী নকুলচন্দ্র মণ্ডল ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন ঝুনুদেবী। সেই বাড়িতেই সপরিবারে থাকেন তাঁর ভাসুর শ্রীকান্ত মণ্ডল। ঝুনুদেবীর অভিযোগ, সামান্য কারণেই ভাসুর ও পরিবারের লোকজন তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। ভাসুর, জা ও তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে ঘরে ঢুকে মারধর করে। আকছারই লাথি-ঘুসি মারে। লাঠিপেটাও করে। শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করা হয়। সম্প্রতি এরকম ঘটনা ঘটায় পড়শিরা ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তিও করেন। ওইদিন রাতেই গাজোল থানার পুলিশের কাছে ভাসুর শ্রীকান্ত মণ্ডল, বড় জা বাসন্তী মণ্ডল ও তাদের দুই ছেলেমেয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ঝুনুদেবী। কিন্তু ঘটনার দশদিন পরও গ্রামে তদন্ত করতে যায়নি পুলিশ বলে অভিযোগ।
[লণ্ঠন অন্ধকার, অসাধু চক্রের ‘হাতযশে’ কেরোসিনে চলছে বাস]
ঝুনুদেবীর দাবি, তিনি যখনই থানায় যাচ্ছেন তখনই এক পুলিশকর্মী তাঁকে বলছেন, থানা থেকে ডোবাখোকসান গ্রাম অনেক দূরে। থানায় সরকারি গাড়ি নেই। গাড়িতে গেলে অনেকটা তেল খরচ হবে। সেই তেল বাবদ নগদ দু’হাজার টাকা দিতে হবে। তেলের টাকা না পেলে পুলিশ তদন্তে যাবে না।
গাজোলের সার্কেল ইন্সপেক্টর আত্রেয়ী সেন বলেন, “পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠা কখনওই কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। যদি পুলিশের কেউ দোষী প্রমাণিত হন তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঝুনুদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৫ ও ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
[খোয়া গিয়েছে ১০০ টাকা, চোর সন্দেহে দুই নাবালককে ইলেকট্রিক শক!]