Advertisement
Advertisement

সম্পত্তি হাতাতে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে তাণ্ডব গৃহবধূর

গৃহবধূর অত্যাচারে জখম শ্বশুর।

Maldah: Housewife threatened her father-in-law for property
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 14, 2018 5:21 pm
  • Updated:September 14, 2018 5:21 pm

বাবুল হক,মালদহ: সম্পত্তি হাতাতে বৃদ্ধকে আটকে রেখে দুষ্কৃতীদের মারধরের ঘটনা আকছারই ঘটে। কিন্তু বউমাই যদি শ্বশুরকে শায়েস্তা করতে দুষ্কৃতীদের ঘরে ঢোকায়, তা বেমানানই বটে। এমনটাই ঘটল মালদহের ইংরেজবাজারে।

[বিয়ে মানেনি পরিবার, অপমানে আত্মঘাতী নবদম্পতি]

অভিযোগ, শ্বশুরের বড় বাড়ি ও দু’টি বাগানের প্রতি পুত্রবধূর ‘নজর’ ছিল আগেই। এ নিয়ে প্রায়ই অশান্তি চলত। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শ্বশুরবাড়িতে একেবারে গুন্ডা নিয়ে হাজির হয় পুত্রবধূ। জোর করে সম্পত্তি লেখানোর জন্য শ্বশুরকে চাপ দিতে থাকে সে। পরিণতিতে ৭৫ বছরের বৃদ্ধকে উত্তম-মধ্যম দিল দুষ্কৃতীরা। পুত্রবধূর লোভের কারণে স্বামী-শাশুড়িও প্রহৃত হন। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ি ছাড়ার আগে দেড় লক্ষ টাকা ও গয়নাগাটি নিয়ে চম্পট দিয়েছে ওই পুত্রবধূ। যাওয়ার সময় সাড়ে তিন বছরের মেয়েকেও নিয়ে গিয়েছে সে।বৃহস্পতিবার রাতেই জখম শ্বশুর সন্তোষ সরকার ও শাশুড়ি সান্ত্বনা সরকার পুত্রবধূ সোনালি চৌধুরি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইংরেজবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু জানান,নির্যাতিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

Advertisement

[দেড় বছর পর দেখা, ফেসবুকই মিলিয়ে দিল মা ও ছেলেকে]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ শহরের পূর্ব দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা সন্তোষ সরকার (৭৫) এলাকায় মন্টুবাবু নামেই বেশি পরিচিত। মন্টুবাবু অবসরপ্রাপ্ত  সরকারি কর্মী। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। অনেকদিন আগেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। ২০১৩ সালে ছেলে যিশু পুরাতন মালদহের সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা সোনালি চৌধুরিকে ভালবেসে  বিয়ে করেন। যিশুর মালদহ শহরেই নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে৷ তাঁদের সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মন্টুবাবুর স্ত্রী সান্ত্বনাদেবীর অভিযোগ, ৩ বছর ধরে তাঁদের পুত্রবধূ বাড়ি ও জমি জায়গা নিজের নামে করে দেওয়ার জন্য শ্বশুরকে চাপ দিচ্ছিল। এর পিছনে মেয়ের বাপেরবাড়ির লোকেদের মদত রয়েছে। এ নিয়ে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। বউমা বাড়ির কারও কথাই শুনত না। এমনকী, স্বামীর সঙ্গেও সোনালির বনিবনা ছিল না। সান্ত্বনাদেবীর কথায়, “বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সোনালি ও তার মা, ভাই বেশ কিছু গুন্ডা নিয়ে বাড়িতে ঢুকে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য আমার স্বামীকে চাপ দিতে থাকে। আমার স্বামী পুত্রবধূর কথা না শুনলে তাঁকে ওরা বেধড়ক মারধর করে৷ প্রতিবাদ করায় আমার গায়েও হাত তুলেছে ওরা। কোনওভাবে খবর পেয়ে ছেলে বাড়িতে এসে বাবাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে ওকেও মারধর করে সোনালি৷ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে সোনালি গুন্ডা দিয়ে আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। ঘরে থাকা লাখ দেড়েক টাকা ও বেশ কিছু সোনার গয়না-সহ নাতনিকে নিয়ে চলে গিয়েছে সোনালি।”

Advertisement

[দলের অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিকে জেল খাটানোর হুমকি, ফের বিতর্কে অনুব্রত]

শেষমেশ সান্ত্বনাদেবী আত্মীয় পরিজনের পরামর্শে গোটা ঘটনা জানিয়ে ইংরেজবাজার থানায় পুত্রবধূ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ জখম শ্বশুরকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়৷ শুক্রবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ