প্রতীকী ছবি
বাবুল হক, মালদহ: বেশ কিছু মাস প্রেমের পর গত নমাস আগে বিয়ে। কিন্তু তারপরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায়। একসময় চরম সিদ্ধান্ত নেন। স্ত্রীকে ভিডিও কল করে ‘আত্মঘাতী’ হলেন যুবক। স্ত্রীর সঙ্গে প্রবল মনোমালিণ্যের কারণেই কি এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? সেই প্রশ্ন উঠছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহ থানার সাহাপুর দুই নম্বর বিমল দাস কলোনিতে।
বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার বাসিন্দা জয়তিকা মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল সুরজিৎ হালদারের। কিন্তু সেই দাম্পত্য সুখকর ছিল না বলে খবর। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজের ঘর থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুরজিতের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুত্রবধূর সঙ্গে তাঁর জামাইবাবুর অবৈধ সম্পর্ক আছে। সে কারণেই ছেলেকে মাঝেমধ্যে হুমকি দেওয়া হত। শ্বশুরবাড়ির চাপেই সুরজিতের প্রাণ গেল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, বিয়ের পর কিছু মাস সম্পর্ক দুজনের মধ্যে ভালোই ছিল। তবে সম্পর্কের অবনতিও হতে বেশি সময় লাগেনি।
একসময় শ্বশুরবাড়ি থেকে চলেও জয়তিকা। সুরজিৎ হালদার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযোগ করায় দিন কয়েক আগে আদালত থেকে নাকি জামিনও নিতে হয় তাঁকে। এরপর থেকে কিছুটা মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি। গতকাল রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন সুরজিৎ। রাতে স্ত্রীকে ভিডিও কল করেন। মৃতদেহ উদ্ধারের সময়ও সুরজিতের মোবাইলে ভিডিও কল চালু ছিল বলে পরিবারের দাবি। পুত্রবধূর জন্যই ছেলেকে মারা যেতে হল বলে দাবি করেছেন মৃতের বাবা স্বাধীন হালদার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.