Advertisement
Advertisement

হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বড়মাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণে ভূষিত করলেন মমতা৷

Mamata announces new University
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 15, 2018 3:01 pm
  • Updated:November 15, 2018 4:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের প্রধান উপদেষ্টা ‘বড়মা’ বীণাপাণিদেবীর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য একগুচ্ছ উপহার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ, বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের আশ্রমে গিয়ে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷

[কনস্টেবল অসীম দাম খুনের মামলায় ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড]

গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া এলাকায় কৃষি দপ্তরের ৮.৮ একর জমিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আজ থেকেই যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একটি সাইনবোর্ড প্রকল্প এলাকায় লাগিয়ে দেওয়া হয়, তা নির্দেশও দেন তিনি৷ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের পাশাপাশি ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি ঢেলে সাজানো ও পদ্মপুকুর সংস্কারের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন৷ একই সঙ্গে ঠাকুরবাড়িতে ঢোকার আগে দু’টি বিশাল তোরণ নির্মাণ করার জন্য পর্যটন দপ্তরকে নির্দেশ দেন৷ গোটা বিষয়টি বাস্তবায়িত করতে জেলা শাসককে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড়মাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণে ভূষিত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Advertisement

[প্রিয়জনের স্মৃতিতে বৃক্ষশিশু রোপণ, পরিবেশ সচেতনতায় পথ দেখাচ্ছেন ‘গাছমাস্টার’]

Advertisement

বীণাপাণিদেবীকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করার পর একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘মা’র আজ জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি খুশি৷ আমি চাই ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়ি আন্তর্জাতিক মানচিত্রে উজ্জ্বল হয়ে উঠুক৷ মতুয়া সমাজের বিকাশ হোক৷’’ মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের উন্নয়নে রাজ্য সরকার সর্বদা পাশে থাকবে বলেও এদিন আশ্বস্ত করেন মমতা৷

[দুর্বিষহ জীবন, দোরে দোরে মৃত্যুভিক্ষা মা-ছেলের]

All India Matua Mahasangha

বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়দের জন্য পৃথক দু’টি পর্ষদ গঠন করেছে৷ আমি চাই, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া, দীর্ঘদিন ধরে শোষিত ও লাঞ্ছিত হওয়া মতুয়া সমাজের উন্নয়ন হোক৷ সবাই এগিয়ে আসুন৷ সরকার আপনাদেনের পাশে আছে, আগামী দিনেও থাকবে৷ নিচু-উঁচু জাত বলে কিছু নেই৷ সবাই মাথা উঁচু করে বাঁচুন৷ আমি আপনাদের সঙ্গে আছি৷ আমি সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের আন্দোলনকে সমর্থন করি৷ কারণ, আমিও মতুয়া সংঘের সদস্য৷’’

[রথযাত্রার প্রস্তুতি ঘিরে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, জেলা সভাপতিকে মারধর]

এদিন এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ গুজরাটে বিহারি খেদাও আর অসমে বাঙালি খেদাও- এগুলিই বিজেপির নীতি বলেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘অসমের পাশে আছে বাংলা৷ ওখানকার বাঙালিদের যেকোনও প্রযোজনে আমরা পাশে দাঁড়াব৷’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ