Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mamata Banerjee

‘সাধুগিরি বের করবই’, তমলুকে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ মমতার

একসময় তৃণমূলের বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন তিনি। আজ সেই শুভেন্দু অধিকারীই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়ির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুললেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ, "সাধুগিরি বের করবই।"

Mamata Banerjee challenges Suvendu Adhikari from Tamluk

(বাঁদিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং (ডানদিকে) শুভেন্দু অধিকারী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 4, 2024 2:17 pm
  • Updated:March 4, 2024 5:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় তৃণমূলের বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন তিনি। আজ সেই শুভেন্দু অধিকারীই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়ির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুললেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ, “সাধুগিরি বের করবই।”

লোকসভা নির্বাচনের মুখে দুর্নীতি ইস্যুকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রীই যেন বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। আর সোমবার সেই ইস্যুতে মুখ খুলে নাম না করে পালটা  শুভেন্দুকে দুষলেন মমতা। নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর যোগসাজশের অভিযোগ করলেন। বলেন, “কাউকে লুট করে, গায়ের জোরে কোটি কোটি টাকা করেছে। চোরের মায়ের বড় গলা। পকেটমার বাসে উঠলে সেই প্রথম চিৎকার করে। যখন চিৎকার করে অন্যরা উঠে দাঁড়ায় তখন পকেটমার পালিয়ে যায়। সবচেয়ে বড় পকেটমারি স্কুল এডুকেশনে কে করেছে? কার বিনিময়ে চাকরি হয়েছিল? কীসের বিনিময়ে চাকরি হয়েছিল? খবর আমিও রাখি। কিন্তু চাকরি আমি কারও যেতে দেব না। ওরা চাকরি খায়। আমরা চাকরি দিই। তবে মাথাকে ছোঁব না ভাববেন না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মোদিজি ক্ষমা করলেন না’, লোকসভায় টিকিট না পেয়ে অভিমানী সাধ্বী প্রজ্ঞা]

ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগিয়ে শাসকদলের কুৎসা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। নাম না করে অধিকারী পরিবারের মেজো সন্তানকে ‘গদ্দারবাবু’ বলেও খোঁচা দিয়েছেন মমতা। তাঁর দাবি, “দিল্লির জোরে ক্ষমতা দেখিয়ে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করেছে। ইলেকশন আসবে যাবে আমরাই থাকব। গদ্দারবাবু। গদ্দারদের কমরেড। আমি নাম বলি না। বলতে লজ্জা লাগে। পার্টির থেকে সবথেকে বেশি পেয়েছে, খেয়েছে। নিজে পাছে ধরা পড়ে তাই কোর্টে গিয়েছে। গরিব ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে সাধু সেজে বসে আছে।” মমতার হুঁশিয়ারি, “এই সাধুগিরি বের করবই।” মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, “সত্যিকার সাধুকে সম্মান করি। সাধুর পোশাক পরে অসাধু কাজ করলে সম্মান করি না।” এছাড়া এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ইস্যুতেও সুর চড়ান মমতা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: গভীর রাতে বাইকের বেপরোয়া গতি, মহেশতলায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু দুই যুবকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ