সন্দীপ চক্রবর্তী, গঙ্গাসাগর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি আশ্রমের প্রধান মোহন্ত। মোহন্ত জ্ঞানদাসজি মহারাজ অযোধ্যার হনুমানগড়িরও অন্যতম জনপ্রিয় মোহন্ত। আগেও তিনি মমতার উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করেছেন। তবে এবার আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিতে তাঁর মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। মমতার সততা দেশের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে শিক্ষণীয় বলে বক্তব্য তাঁর। পাশাপাশি বিজেপির রামমন্দির বা হনুমান নিয়ে রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। লোকসভা ভোটের মুখে যখন সাম্প্রদায়িকতা প্রশ্নে দিল্লির রাজনীতি তোলপাড়, সেই সময়ে অযোধ্যার মোহন্তের সমালোচনার তির ইঙ্গিতবাহীও বটে।
বিজেপি রামকে দলের এজেন্ট বানিয়েছে বলেও আক্রমণ করেছেন জ্ঞানদাসজি। তাঁর আক্রমণ, ভোট এলেই রাম জন্মভূমি ইস্যু খুঁচিয়ে তোলা হয়। ভোট মিটলেই তা উবে যায়। হনুমানের জাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হনুমানজি রাজার পুত্র। কুম্ভমেলার প্রচার নিয়েও বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন তিনি। বুধবার দু’দিনের সফরে গঙ্গাসাগর এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরবাজারে সরকারি পরিষেবা প্রদান সভা সেরে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ মোহন্ত জ্ঞানদাসজি, সঞ্জয়দাসজির সঙ্গে আলোচনা করেন। ধর্মশালা-সহ আশ্রম চত্বর ঘুরে দেখেন। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে ও শঙ্খনিনাদে স্বাগত জানান হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে এখানে আসা কষ্টকর ছিল। কুম্ভমেলার সব জায়গায় রেল যোগাযোগ রয়েছে। এখানে পরিকাঠামো উন্নতি হয়েছে। আরো উন্নতি করা হবে। কী কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
[ ‘৮০ টাকা দিতে পারছি, ২০ টাকাও পারব’, কৃষিবিমা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর]
জ্ঞানদাস মহারাজ উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, এলাহাবাদ এর কুম্ভ নিয়ে মিথ্যাচার চলছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অর্ধ কুম্ভকে পূর্ণ কুম্ভ বলে চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী চাই। তাঁর সততা শিক্ষণীয়।মানবতাকে বড় ধর্ম হিসেবে দেখতে চান মোহন্ত।