Advertisement
Advertisement

Breaking News

মিড-ডে মিল

আয় বাড়াতে মিড-ডে মিল রাঁধুনিদের ১০০ দিনের কাজে যুক্ত করার ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর

ঠিক হয়েছে, ১০০ দিনের প্রকল্পে প্রতিটি স্কুলে কমিউনিটি কিচেন গার্ডেন বানানো হবে।

Mamata Banerjee plans to create 100 days job for Mid-Day meal workers

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 28, 2019 1:16 pm
  • Updated:August 28, 2019 1:17 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাজ্যের স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলের দায়িত্বে থাকে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী। প্রতিটি গোষ্ঠীর মাসিক আয় মাত্র দেড় হাজার টাকা। এবার তাঁদের বাড়িতে রোজগারের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি গোষ্ঠীকে দিয়ে অন্য কাজও করানো হবে। যার মাধ্যমে প্রতিটি গোষ্ঠী মাসে অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবে। ফলে গোষ্ঠীগুলির মাসিক আয় প্রায় সাত হাজার টাকা হবে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে নির্দেশিকা জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি জেলা শাসক ও স্কুলগুলির কাছে দ্রুত এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানোর জন্য বলেছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: বিপুল পরিমাণে বাড়ছে জরিমানা, কেন্দ্রের নয়া ‘মোটর যান আইন’ মানতে নারাজ রাজ্য]

পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রতিটি প্রাথমিক স্কুল ও হাইস্কুলে মিড-ডে মিল খাওয়ানো হয়ে থাকে। এই মিড-ডে মিল রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাঁধুনিদের জন্য মেলে এক হাজার টাকা। আর রাজ্য সরকার আরও ৫০০ টাকা দিয়ে থাকে। সবমিলিয়ে প্রতিটি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা মাসে দেড় হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। সেই টাকা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর সদস্যরা ভাগ করে নেন। এই আয় তাঁদের কাছে খুবই কম। যা নিয়ে সোমবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আয় বাড়াতে তিনি গোষ্ঠীর মহিলাদের স্কুলেই ১০০ দিনের কাজে কীভাবে যুক্ত করা যায় তার পরামর্শ দেন। সচিবদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়, ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি গোষ্ঠীর দু’জন করে মহিলাকে যুক্ত করা হবে। যা আয় হবে তা সকলে ভাগ করে নেবেন আগের মতোই।

Advertisement

ঠিক হয়েছে, ১০০ দিনের প্রকল্পে প্রতিটি স্কুলে বানানো হবে কমিউনিটি কিচেন গার্ডেন। সেখানে কাজ পাবেন গোষ্ঠীর মহিলারা। এর ফলে রাঁধুনিরা বাড়তি কাজ করে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে কিচেন গার্ডেনে উৎপাদিত সবজি, আনাজপাতি মিড-ডে মিলে খাওয়ানো হবে পড়ুয়াদের। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর আলোচনা করে রাজ্যজুড়ে একই নিয়ম কার্যকর করবে। সার্কুলার ইস্যু করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি মিড-ডে মিল রান্নার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা। বর্ধমানের একটি স্কুলে রান্না করেন জাহানারা বিবি। তিনি বলেন, “গোষ্ঠীর সকলে মিলে পাই মাত্র দেড় হাজার টাকা। তাতে এক একজনের ভাগে খুবই কম টাকা মেলে। ১০০ দিনের কাজ দিলে আয় বাড়বে। খুব উপকৃত হব আমরা।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: কৃষকের জমি হাতানোর চেষ্টা তৃণমূল নেতার, প্রতিবাদে বিক্ষোভ স্থানীয়দের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ